জলদাপাড়ার চিলাপাতা বনাঞ্চলে নল রাজার গড় সংরক্ষণের কাজ শুরু হেরিটেজ কমিশনের
বর্তমান | ১৯ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অনুমতি ছাড়া খননকার্য সম্ভব নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা বনাঞ্চলের ভিতরে নল রাজার গড়ের সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজ শুরু করল ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন। পাশাপাশি, আলিপুরদুয়ারের ঐতিহাসিক এই গড়কে হিস্টোরিক্যাল ট্যুরিজম সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। বনদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে জঙ্গলের চরিত্র বজায় রেখেই নল রাজার গড়ের সংরক্ষণের কাজ করবে রাজ্য।
গড়ের সংরক্ষণ ও পর্যটক টানতে হিস্টোরিক্যাল ট্যুরিজম সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলার অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন। মুখ্যমন্ত্রী ওই চিঠি ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠান। তারপরেই কমিশন থেকে মঙ্গলবার ডেকে পাঠানো হয় আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে। কমিশনের আধিকারিকরা বিধায়কের সঙ্গে ওই গড় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিধায়ক বলেন, গড়ের সুরক্ষার কাজের জন্য কমিশন থেকে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনকে ডিপিআর পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পূর্তদপ্তর কাজ করবে। গুপ্ত যুগের ঐতিহাসিক নল রাজার গড়ের বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থা। মাটিতে বসে গিয়েছে গড়টি। শুধু মাটির উপরে সামান্য অংশ দেখা যায়।
বনদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে সংরক্ষিত জঙ্গলের চরিত্র বজায় রেখে গড়ের সুরক্ষার কাজ করা হবে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ছাড়পত্র ছাড়া গড়ের খননকার্য সম্ভব নয়। তাই শুধুমাত্র গড়টির সুরক্ষার কাজ করবে হেরিটেজ কমিশন। সংরক্ষণের কাজ ছাড়াও চিলাপাতায় আরও বেশি করে পর্যটক টানতে গড়ের গৌরব গাথা প্রদর্শন করবে রাজ্য। তার জন্য এখানে একটি ওপেন এয়ার মিউজিয়াম করা হবে।
সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, নল রাজার গড়টি হেরিটেজ কমিশনের নজরে আছে। কিন্তু সরকারিভাবে এখনও হেরিটেজ সেন্টারের তকমা পায়নি। এবার হেরিটেজ কমিশন একই সঙ্গে এই গড়ের সুরক্ষা ও হেরিটেজ তকমার কাজ করবে। নিজস্ব চিত্র।