• বীরভূমে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জের, বাড়ছে অস্বস্তি
    বর্তমান | ১৯ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: তীব্র গরম থেকে অবশ্য খানিকটা স্বস্তি মিলেছে। মাঝেমধ্যে ক্ষণিকের বৃষ্টি নজরে আসছে। যদিও গরমের দাপট অব্যাহত রয়েছে। এখনও ফ্যান, এসি ছাড়া নিস্তার নেই। যদিও এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন যাবৎ সিউড়ি শহরের একাংশ সহ জেলার নানা প্রান্তে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সাধারণ মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কখনও কখনও টানা ১ থেকে দু’ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময়ের জন্য লোডশেডিং হচ্ছে। সেইসঙ্গে দোসর হয়ে উঠেছে লো ভোল্টেজ। ঘটনায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ দপ্তরকে কাঠগড়ায় তুলে ধরেছেন। যদিও দপ্তরের আধিকারিকদের সাফাই, অত্যধিক গরমের পর আচমকাই বৃষ্টির জেরে ওই মুহূর্তে আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তন হচ্ছে। ফলত বহু ক্ষেত্রে ইনসুলেটর লিকেজ হয়ে যাচ্ছে। যার দরুণ লোডশেডিংয়ের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও ওভারলোডিংয়ের জেরেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার পরিমল সরকার বলেন, প্রবল গরমের পর আচমকা বৃষ্টি হলে আবহাওয়া বদলের জেরে ইনসুলেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহুক্ষেত্রে ইনসুলেটর ভেঙে যায়। ফলত বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আমাদের তরফে দ্রুত ইনসুলেটর পরিবর্তন করা হচ্ছে। পাশাপাশি দপ্তরকে না জানিয়ে লোড বাড়াচ্ছেন অনেকে, তাই বহুক্ষেত্রে লো ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছি। 

    অভিযোগ, জেলার সিউড়ি শহরের একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা দিনকয়েক যাবৎ যথেষ্ট বেড়ে চলেছে। সেইসঙ্গে মহম্মদবাজার সহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দিনের বিভিন্ন সময়ে আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। মাঝেমধ্যেই মিনিট কয়েকের জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। কখনও আবার একটানা ঘণ্টা কয়েক লোডশেডিং হচ্ছে। ফলত, গরমের আবহে আট থেকে আশি সকলেই সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে ভোর কিংবা রাতের দিকে লোডশেডিংয়ে সমস্যা যথেষ্ট বাড়ছে। এছাড়াও লো ভোল্টেজের জেরেও মাঝেমধ্যে সমস্যা খানিকটা দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে। ঘটনায় স্থানীয়দের একাংশ বিদ্যুৎ দপ্তরের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। 

    সম্প্রতি ঝড়ের দাপট না থাকলেও মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় তিতিবিরক্ত আমজনতা। যদিও আধিকারিকরা এজন্য উপভোক্তাদের একাংশকেই দায়ী করেছেন। আধিকারিকদের বক্তব্য, দপ্তরকে না জানিয়ে লোড বাড়ানোর জেরে ঘন ঘন ট্রান্সফর্মারের ফিউজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে উপভোক্তাদের নোটিস করে সতর্ক করা হলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। যার মাশুল দপ্তরকেও গুনতে হচ্ছে। সিউড়ির বাসিন্দা শুভাশিস গড়াই বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে গরমের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে কষ্টটা বেশি হচ্ছে। জেলায় একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও বারংবার এই ঘটনা কেন ঘটছে, তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দেখা উচিত। 
  • Link to this news (বর্তমান)