• SAI-এর উদাসীনতায় জলপাইগুড়িতে নষ্ট হচ্ছে ক্রীড়া পরিকাঠামো, বিধানসভায় অভিযোগ ক্রীড়ামন্ত্রীর
    News18 বাংলা | ২০ জুন ২০২৫
  • আবীর ঘোষাল, কলকাতা: রাজ্যে বেড়েছে খেলার পরিকাঠামো ৷ এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মধ্যেই, গত পাঁচ বছরে ১৩টি নয়া স্টেডিয়াম হয়েছে গোটা রাজ্যে। পুরুলিয়াতে ৬ টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ১টা, নদিয়ায় ২ টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১টা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে দু’টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটা নতুন স্টেডিয়াম হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে ১৮ নয়া স্টেডিয়াম হয়েছে। ২৭ স্টেডিয়াম পুনঃব্যবহার যোগ্য হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৮ নয়া স্টেডিয়াম থাকছে এই রাজ্যে।

    রাজ্য ক্রীড়া দফতরের দাবি, সাইয়ের উদাসীনতায় বিশ্ববাংলা স্টেডিয়ামের যাবতীয় পরিকাঠামো নষ্ট হতে বসেছে। এখন উত্তরবঙ্গের বিশ্ববাংলা স্টেডিয়াম রয়েছে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) অধীনে। সাই কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের অধীনে থাকা একটি সংস্থা। অন্যদিকে রাজ্যের পক্ষ থেকে খেলায় উৎসাহ দেওয়া হলেও কেন্দ্র কোনও ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “সাই (SAI)-এর সঙ্গে চুক্তি করে জলপাইগুড়িতে প্রায় ২৭ একর জায়গা নিয়ে স্টেডিয়াম হয়েছে। সেখানে খেলা হবে বলা হয়েছিল। সেখানে গরু চড়ছে। কেন্দ্র কিছু করেনি।” এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গরু চড়ার ছবি-সহ তথ্য পাঠিয়েছেন বলে জানান অরূপ।

    এর আগে বিধানসভায় এই ইস্যুতে, মিথ্যা-বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ার জন্য বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। বিধানসভায় এর আগে, অশোক দিন্দা জানিয়েছিলেন, বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন করতে কেন্দ্র টাকা দেয় ৫০ কোটি। দিন্দার এই দাবি অসত্য বলে উল্লেখ করেছিলেন অরূপ বিশ্বাস। অশোক দিন্দা কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। তাই বিধানসভাকে বিভ্রান্ত করার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মন্ত্রী । এর পাশাপাশি কেন্দ্র না পারলে রাজ্যকে জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন ফেরত দেওয়া হোক বলেও আবেদন জানান রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী।

    এই স্টেডিয়াম গড়তে ৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্টেডিয়ামের নাম রেখেছিলেন। ফুটবল, কবাডি, স্কোয়াশ, দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প, টেবিল টেনিস, জুডো ইত্যাদি খেলার পরিকাঠামো ছিল। রাজ্য সরকারের দাবি, সাইয়ের উদাসীনতায় স্টেডিয়ামের যাবতীয় পরিকাঠামো নষ্ট হতে বসেছে।
  • Link to this news (News18 বাংলা)