দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বাংলার সব বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে মহাপ্রসাদ বিতরণের কাজ। ২৭ জুন রথযাত্রার আগে প্রসাদ বিতরণের কাজ শেষ করা হবে। শনিবার সকাল থেকেই জেলা জেলায় রেশন দোকানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জাতিধর্ম নির্বিশেষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এ দিন লাইনে দাঁড়িয়ে প্রসাদ নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, সিঙ্গুর, চুঁচুড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ বিতরণ শুরু হয়েছে। বাকি জেলায় শীঘ্রই শুরু হবে মহাপ্রসাদ বিলির কাজ। এ দিন ‘জগন্নাথ ধাম দিঘা’ লেখা প্যাকেটে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। প্যাকেটের ভিতরে রয়েছে একটি করে পেঁড়া ও গজা। সঙ্গে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের একটি ছবি। রেশন দোকানের মাধ্যমে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ। রেশন দোকানে নামের লিস্ট ধরে মানুষের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর বিডিও অফিস থেকে মহাপ্রসাদ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে সাংসদ জুন মালিয়া। সিঙ্গুরে এই দায়িত্ব পালন করছেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘সিঙ্গুরের নতুন ভেড়িতে আজ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এসে প্রসাদ গ্রহণ নিয়ে গিয়েছেন। এ রাজ্যে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।’
উল্লেখ্য, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। এ বার হিন্দু ছাড়াও সমস্ত ধর্মের মানুষের মধ্যে জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ বিতরণ ঘিরেও চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।