• দুর্গাপুরে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে ধাক্কা অ্যাম্বুলেন্সের, মৃত তিন...
    আজকাল | ২১ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় সড়কে ফের পথের বলি। দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন জনের। শনিবার ভোরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের জামালপুরের মুসুণ্ডা এলাকায়। এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন চার জন। জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কলকাতার দমদমে এক রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই অ্যাম্বুলেন্সে দুর্গাপুর ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার ধারে একটি লরি দাঁড়িয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সটি গিয়ে ওই লরিটির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুল্যান্সটি প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম তিন জনকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। 

    পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের  নাম গৌতম দাস(৫৫), বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার যশোর রোডে। বিশ্বজিৎ চৌধুরী (৫২), বাড়ি দুর্গাপুরে এবং বিধান রুইদাস (৩৫) বাড়ি বীরভূমের জয়দেবে। বিশ্বজিৎ ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সের টেকনিশিয়ান এবং বিধান অ্যাম্বুলেন্সের চালক ছিলেন।

    এসডিপিও(সাউথ) অভিষেক মণ্ডল জানিয়েছেন, শনিবার আনুমানিক ভোর সাড়ে ৩টের সময় জামালপুরের মুসুণ্ডা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অ্যাম্বুলেন্সের চালক ঘুমিয়ে পড়ার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরেই লরির চালক লরি নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই গাড়িটির খোঁজ করা হচ্ছে। 

    মৃত গৌতম দাসের আত্মীয় শুক্লা মৈত্র জানান, অ্যাম্বুল্যান্সের টেকনিশিয়ানের তিন আত্মীয় কলকাতা থেকে দুর্গাপুর ফিরছিল অ্যাম্বুল্যান্সে করে। অ্যাম্বুলেন্স ফাঁকা থাকায় তাঁরা কলকাতায় চেপে বসেন। কিন্তু চালক ঘুমিয়ে যাওয়ায় লরির পিছনে ধাক্কা মারে।
  • Link to this news (আজকাল)