• দিঘার মহাপ্রসাদ পেয়ে খুশি আলিপুরদুয়ারের বাম-বিজেপি নেতারা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২১ জুন ২০২৫
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ। বিরোধী দলের শীর্ষনেতারা এই নিয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত থাকলেও, তৃণমূল স্তরের বিজেপি-সিপিএম নেতা-কর্মীরা সাদরে এই প্রসাদ গ্রহণ করছেন। আর এবার একেবারে সিপিএমের কো-অর্ডিনেশন কমিটির অফিসে ঢুকে জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ বিতরণ করলেন পুর চেয়ারম্যান। সেই ছবিই এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।

    আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দনগর এলাকায় শুক্রবার মহাপ্রসাদ বিলি হয়। পুর চেয়ারম্যান বাবলু কর প্রসাদ নিয়ে হাজির হন বিজেপির ওই ওয়ার্ডের শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ পারমিতা দের বাড়িতে। জগন্নাথের নামে জয়ধ্বনী দিয়ে প্রসাদ নেন বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, ‘ঠাকুর সবার। আমরাও তো রাম মন্দিরের চাল বিলি করেছিলাম। প্রসাদ নিয়ে কেন রাজনীতি হবে? আর আমাদের চেয়ারম্যানকে আমি শ্রদ্ধা করি। সেই কারণে তাঁর হাত থেকে ঠাকুরের প্রসাদ নিতে কোনও আপত্তি নেই তো। আমরা সকলে প্রণাম করে সেই প্রসাদ খেয়েছি।’

    গত পুর নির্বাচনে বিজেপির পুর-প্রার্থী দেবাশিস সরকারের স্ত্রীর হাতেও প্রসাদ তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এমনকী প্রসাদ গ্রহণ করেছেন বিজেপির অফিস সম্পাদক শঙ্কর সিনহার স্ত্রীও। একসময় শঙ্করবাবু মিষ্টির দোকানে প্রসাদ তৈরির বিরোধিতা করে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন। আলিপুরদুয়ারের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির শক্তি প্রমুখ নেপাল সাহার হাতে প্রসাদ তুলে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থপ্রতিম ঘোষ। সিপিএমের কো-অর্ডিনেশন কমিটির অফিসেও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথের পুজোয় দেওয়া ক্ষীর বিতরণ করে দেওয়া হবে রাজ্যের প্রতিটি জেলায়। প্রতিটি জেলায় নির্দিষ্ট একটি দোকানে সেই ক্ষীর মিশিয়ে তৈরি করা হবে পেঁড়া এবং গজা। তারপর সেই প্রসাদ বাক্সে ভরা হবে। তারপর সেই প্রসাদ চলে যাবে সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন রেশন দোকানে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)