• পুরনো কর্মক্ষেত্রে ফিরতে চাওয়া চাকরিহারা শিক্ষকদের তথ্য চাইল শিক্ষা দপ্তর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২২ জুন ২০২৫
  • সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। আদালত জানিয়েছিল, চাকরিহারা শিক্ষকরা চাইলে পুরনো কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের ‘সার্ভিস ব্রেক’ হবে না। ওই সব শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে তিন মাসের মধ্যে। এরপর গত কয়েক মাসে পুরনো কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার আবেদন জানান প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক। তাঁদের বিষয়েই ডিআইদের (স্কুল পরিদর্শক) কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠাল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। মূলত যাচাই করা হবে, যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁরা স্কুলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে কোন দপ্তরে এবং কোন পদে কাজ করতেন।

    সূত্রের খবর, আবেদনকারীদের মধ্যে একটা বড় অংশ আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। পরে তাঁরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে যোগ দেন। চাকরি হারিয়ে তাঁরা সকলেই এবার প্রাইমারি স্কুলের পুরোনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। অনেকে আবার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজ করতেন। পরে এসএলএসটি পরীক্ষা দিয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে যোগদান করেন।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৪৭ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছিল, যাঁরা পুরনো চাকরিতে ফিরতে চান, তাঁদের আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন করার তিন মাসের মধ্যে তাঁদের পুরনো চাকরিতে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। আদালতের এই নির্দেশ মাথায় রেখেই চাকরিহারাদের একাংশ আন্দোলনের পথে না হেঁটে পুরোনো চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ এবার লাগু করার পথে হাঁটল সরকার।

    চাকরিহারা শিক্ষকেরা মূলত বিকাশ ভবন, কমিশনার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, প্রাইমারি, জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলে এই সংক্রান্ত আবেদন জমা দিয়েছেন। অনেকে আবার মাদ্রাসা এবং এসএসসি দপ্তরে দরখাস্ত করেছেন। সেই তথ্য জানার জন্যই এবার সব প্রাথমিক এবং সেকেন্ডারি ডিআইয়ের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।

    ডিআইদের নির্দিষ্ট ফরম্যাটে তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের জমা দেওয়া চিঠির ভিত্তিতে মূলত পাঁচটি তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। আবেদনকারীরা আগে কোথায় চাকরি করতেন, ২০১৬ এসএলএসটিতে কোন স্কুলে তাঁরা যোগদান করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর কাজে যোগ দেওয়ার পরে ‘অ্যাপ্রুভাল’ হয়েছিল কি না, ঠিক মতোই বেতন পাচ্ছিলেন কি না, বদলির জন্য ট্রান্সফার অন্য কোথাও গিয়েছিল কি না, এই সমস্ত তথ্যই জানাতে হবে ডিআইদের।

    বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘যে দিন সুপ্রিম কোর্ট অর্ডার দিয়েছিল, তার কয়েক দিন পরেই আমরা মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক, মাদ্রাসার আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছিলাম, যাতে তাঁরা আগের পদে যোগদান করতে পারেন। আমাদের অনুরোধ, তাঁদের প্রত্যেককে নিজের জেলায় পোস্টিং দিয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)