বকেয়া টাকা না পেয়ে রায়গঞ্জে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কাজ বন্ধ ঠিকাদারদের
বর্তমান | ২৪ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না আসা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছিলই। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জলজীবন মিশনের কাজ বন্ধ করে দিলেন ঠিকাদাররা। সোমবার পিএইচই’র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয়ের সামনে ঠিকাদাররা জমায়েত হয়ে কর্মবিরতির সূচনা করেন। ওয়েস্ট দিনাজপুর কন্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন নামে সংগঠনটির দাবি, বুধবার পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। ধাপে ধাপে রাজ্যের টাকা এলেও বেশ কয়েকমাস ধরে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আসছে না। যার জেরে পিছিয়ে যাচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলায় জলজীবন মিশনের কাজ। এনিয়ে শুধু পিএইচই’র ইঞ্জিনিয়াররাই নন, কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাগুলিও।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জলজীবন মিশন খাতে জেলার বকেয়া রয়েছে ৭০ কোটি টাকার বেশি। যার বেশিরভাগটাই কেন্দ্র থেকে আসার কথা। ফলে দীর্ঘ সময় বকেয়া টাকা না পেয়ে কার্যত থমকে যাচ্ছে প্রকল্পের কাজ। কাজে উৎসাহ হারাচ্ছে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থাগুলি। এমন অবস্থায় বকেয়া পেতে মরিয়া ঠিকাদাররা। এনিয়ে সোমবার ওয়েস্ট দিনাজপুর কন্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন লিখিত দাবিপত্রও দেয়।
ঠিকাদার সংগঠনটির তরফে অজিত প্রামাণিক বলেন, ২০২২ থেকে জলজীবন মিশনের চলা কাজ বাবদ বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া পড়ে গিয়েছে। রাজ্যে ছ’হাজার কোটি টাকা এবং উত্তর দিনাজপুরে ১০০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০ কোটি টাকার বকেয়া বিল আমরা দপ্তরে জমা দিয়েছি। কিন্তু পাওনা মিটছে না। টাকার অভাবে আমরা ধুঁকছি। প্রকল্পের কাজে যুক্ত কর্মীদের পাওনা মেটানো যাচ্ছে না। প্রকল্পের কাজ থমকে থাকছে। প্রকল্পের কাজের জন্য অনেক ঠিকাদার বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণও নিয়েছেন। এর ফলে আলাদা করে ব্যাঙ্কের সুদ টানতে হচ্ছে ঠিকাদারদেরকে। বকেয়া মিটতে দেরি হলে আমাদের লাভ বলে কিছু থাকবে না।
এপ্রসঙ্গে জেলা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া থাকায় ঠিকাদাররা অস্থির হয়ে উঠছেন। যেটা স্বাভাবিক। তবে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা না আসতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব, যাতে সমস্যা মেটে। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে জলজীবন মিশন প্রকল্পের কাজ কার্যত থমকে গিয়েছে।