নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বোমার আঘাতে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিল পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে। কমিশন জানিয়েছে, অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এ দিকে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ। ইতিমধ্যেই নাবালিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের উপরে। তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার না পেলে কোর্টে যাব।
নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় আনোয়ার শেখ, মানোয়ার শেখ, কালু শেখ এবং আদর শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতরা তৃণমূল সমর্থক বলেই এলাকায় পরিচিত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, মৃতার মা সাবিনা কালীগঞ্জ থানার মীরা ফাঁড়িতে ২৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করলে তিনি সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের দরজায় কড়া নাড়বেন। এ জন্য পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
কমিশনকে দেওয়া রিপোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ১টা নাগাদ কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর লিড পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পরে একদল ‘দুষ্কৃতী'- বিজয় মিছিল করে। সেখান থেকে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠেছে। আর সেই বোমার আঘাতে তমন্না খাতুনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর মূল চার সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবারই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পুলিশি ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাবালিকার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন কালীগঞ্জে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদও।