এসএসসি-র নিয়োগ নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইডির মামলায় জামিন পেলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। তবে এখনই জেল মুক্তি হচ্ছে না কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের। কারণ, সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিন পাননি তিনি।
২০২২ সালে গ্রেপ্তার হন কল্যাণময়। সে বছর অবধিই পর্ষদ সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া, বেআইনি ভাবে পদ আঁকড়ে থাকা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। এমনকী বাগ কমিটির রিপোর্টেও নাম রয়েছে তাঁর। ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পর্ষদ সভাপতি পদে ছিলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। যে সময়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়, সে সময়েও কল্যাণময়ই পর্ষদের সভাপতি পদে।
পর্ষদের সভাপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তা বাড়ানো হয়। শুধুমাত্র কল্যাণময়কে পদে রাখতে পর্ষদ সভাপতি পদে থাকার বয়সের সীমাও বাড়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
সেই কল্যাণময় আদালতে জামিনের আর্জি জানালে প্রথম থেকেই তার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। পাল্টা আদালতও জানতে চেয়েছে, কেন কল্যাণময়কে জামিন দেওয়া হবে না? মঙ্গলবার কল্যাণময়ের জামিন মঞ্জুর হলো ঠিকই, তবে জেলমুক্তি এখনই সম্ভব নয়।
ঠিক যেমন গত জানুয়ারিতে ইডির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পান। তাঁকে কলকাতার বিচারভবনে ইডির বিশেষ আদালত জামিন দেয়। ১০ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পাননি পার্থ। বারবার সিবিআইয়ের তোলা প্রভাবশালী তত্ত্বে আটকাচ্ছে জেলমুক্তি। কল্যাণময়েরও জেলমুক্তি সে ভাবেই আটকে যাবে কি না, নজর সে দিকেই।