কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন, সোমবার তৃণমূল বিজয় উৎসব চলার সময় বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় ১৩ বছরের তামান্না খাতুনের। নাবালিকার মৃত্যুতে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘরের মোলান্দি এলাকায় শোরগোল পড়ে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে কালীগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে সিপিএমের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিকে ঘিরে দুর্গাপুরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
এ দিন সকালে দুর্গাপুর স্টেশনের অদূরে বাঁকুড়া মোড়ে সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা পথ অবরোধ করেন। রাস্তার উপরেই টায়ার জ্বালিয়ে তাঁরা প্রতিবাদে সরব হন। সিপিএম কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশ পুতুল জ্বালাতে যান। পুলিশ বাধা দিলে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই সিপিএম কর্মীরা কুশ পুতুল দাহ করেন। আর তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিপিএম কর্মীরা পুলিশকে রাস্তা থেকে ঠেলে সরিয়ে দেন। পাল্টা পুলিশও কর্মীদের দিকে তেড়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে এলাকায় প্রবল যানজট হয়। লাইন দিয়ে একের পর এক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। যানজটে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে যায়। সে সময়ে একজন বাইক আরোহী অবরোধের মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করলে তাঁর সঙ্গেও সিপিএম কর্মীদের বচসা বাধে। পুলিশের তৎপরতায় প্রায় আধ ঘণ্টা বাদে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সিপিএম নেতা সিদ্ধার্থ বসু বলেন, ‘তৃণমূলের বিজয়োল্লাসের বলি হলো তামান্না খাতুন। যাঁরা ভাবছেন, ঘটনা নদিয়ায় ঘটেছে, এখানে কিছু হবে না, তাঁরা ভুল ভাবছেন। আগামীকাল রাজ্য জুড়ে এই ধরনের হিংসাত্মক কাজ করবে তৃণমূল। একজোট হয়ে প্রতিবাদ করা দরকার।’
প্রসঙ্গত, এ দিন দুপুরে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সিটি সেন্টারে এডিডিএ অফিসের সামনে কংগ্রেস কর্মীরাও বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা ডিএমসি মোড় অবরোধ করেন। অবরোধ তুলতে গেলে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তবে কিছুক্ষণ বাদেই অবরোধ উঠে যায়।