নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: একদিকে ইরান - ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে রপ্তানিতে ধাক্কা। অন্যদিকে দেশের বাজারেও কমেছে চাহিদা। জোড়া ফলায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতের চা শিল্প। দেশ জুড়ে নিলামে কমল চায়ের দাম। ডুয়ার্সের সিটিসি চায়ের দাম কমেছে ১৪ শতাংশ। ৭ শতাংশ কমেছে অসম চায়ের দাম। সবমিলিয়ে চলতি মাসে উত্তর ভারতে নিলামে চায়ের দাম কমেছে ১৩ শতাংশ। উত্তরবঙ্গে কয়েক হাজার ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাতা কিনে চা তৈরি করে বটলিফ ফ্যাক্টরি। সেই বটলিফের চায়ের দামে ধস। চলতি মাসে ৭০ টাকা কেজি দরেও নিলাম হয়েছে বটলিফের চা! উল্লেখ্য বিষয় হল, প্রতি বছর ভারতে গড়ে ১৩০ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি কেজি চা রপ্তানি হয়। গত বছর ভারত থেকে রেকর্ড ২৬ কোটি কেজি চা রপ্তানি হয়েছিল। যার সিংহভাগ গিয়েছিল রাশিয়া, সংযুক্ত আরব, ইরান, ইরাক ও আমেরিকায়। কিন্তু বর্তমানে যুদ্ধের কারণে ইরানে চা রপ্তানি বন্ধ। পাশাপাশি অন্য দেশও যুদ্ধে জড়িয়ে প়ায় প্রায় দেড়শো কোটির চা রপ্তানি আটকে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “একদিকে দেশের বাজারে চায়ের চাহিদা বাড়ছে না। অন্যদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে চা রপ্তানি আটকে যাচ্ছে। দুই মিলিয়ে সংকটে দেশের চা শিল্প। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, অসম চায়ের দামেও ধস নেমেছে। গোটা উত্তর ভারতে মোট যে চা উৎপাদন হয়, তার ৮৭ শতাংশ চা হয় অসম ও উত্তরবঙ্গে। ফলে দেশের চা শিল্পে সঙ্কট দেখা দিলে তার বড় প্রভাব পড়বে এখানে। ইরান ও ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে সর্বনাশ নেমে আসবে দেশের চা শিল্পে।”