• ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে নিট পাশের অভিযোগ, বাঁকুড়া মেডিক্যালের ছাত্রীকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ আদিবাসীদের
    এই সময় | ২৪ জুন ২০২৫
  • ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে নিট পাশ করার অভিযোগ এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এও অভিযোগ, ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন জুহি কোলে নামে ওই পড়ুয়া। তিনি এখন ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। সম্প্রতি তাঁর সেই সার্টিফিকেট জাল হিসেবে প্রমাণিত হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হওয়ার পরেও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে বহিষ্কার করেনি। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    সূত্রের খবর, জুহি কোলে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। ২০২১ সালে প্রকাশিত নিটের তালিকায় তাঁর নাম দেখে বাঁকুড়ার আদিবাসী সংগঠনের সন্দেহ হয়। এর পর সংগঠনের সদস্যরা জুহি কোলের এসটি শংসাপত্র বাতিলের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। গত ৩ মার্চ জলপাইগুড়ি সদর থেকে তাঁর সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়। আদিবাসীদের অভিযোগ, সার্টিফিকেট বাতিলের পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে বহিষ্কার করেনি। এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করেননি।

    এর পরেই বাঁকুড়া-সহ জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা ওই ছাত্রীকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে আন্দোলনের ডাক দেয়। সেই অনুযায়ী এ দিন দুপুরে বাঁকুড়ায় ধামসা, মাদল নিয়ে আদিবাসীরা রাস্তায় নামেন। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের লোকপুর ক্যম্পাসের পাশের রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। অবরোধের জেরে শহরের মূল প্রবেশ পথে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়।

    আদিবাসী সমাজের অভিযোগ, ভুয়ো সার্টিফিকেট প্রমাণিত হওয়ার পরেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার পিছনে একটা চক্র কাজ করছে। আদিবাসী কল্যাণ সমিতির জেলা সম্পাদক অপূর্ব সর্দার বলেন, ‘জুহি কোলে এসসি সম্প্রদায়ের। কী করে তাঁর এসটি সার্টিফিকেট থাকতে পারে? একই ব্যক্তির কখনই দু'টো সার্টিফিকেট থাকতে পারে না। এ বিষয়ে কলেজ এখনও কোনও পদক্ষেপ না করায় আমরা আজকে প্রতিবাদে সামিল হয়েছি। কিন্তু এর পরেও কলেজ কোনও ব্যবস্থা না নিলে আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলে যাব।’

    বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, ‘অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে ওই পড়ুয়ার শংসাপত্র যাচাই করার পরেই আমরা তাঁকে ভর্তি নিয়েছি। তাঁর এসটি সার্টিফিকেট ভুয়ো প্রমাণিত হওয়ার পর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এর পর বিশ্ববিদ্যালয় যা নির্দেশ দেবে, আমরা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করব।’

  • Link to this news (এই সময়)