• ফাঁকা মাঠের মধ্যে উঁচু মাটির ঢিবি, খুঁড়তেই শিউরে উঠল পুলিশ, দুই বন্ধুর কীর্তিতে শোরগোল গ্রামে ...
    আজকাল | ২৫ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক। আর তা জানাজানি হতেই বন্ধুর হাতেই খুন হলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার অন্তর্গত রাধাপাড়া গ্রামে। মৃত যুবকের নাম রহিদুল ইসলাম (৩৫)। 

    মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ ভরতপুর থানার অন্তর্গত ঝিকরা গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে কবর খুঁড়ে বার করা হলো রহিদুল ইসলামের দেহ। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ভরতপুর থানার পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম জিগর শেখ এবং তার ভগ্নিপতি আফসার শেখ। 

    ধৃত দুই যুবককে মঙ্গলবার কান্দি আদালতে পেশ করা হলে তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করা হয়। এরপর ভরতপুর থানার পুলিশ এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধৃত দুই যুবক দেখিয়ে দেন কোথায় দেহ পোঁতা রয়েছে। সকলের উপস্থিতিতেই ঝিকরা গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে কবর থেকে রহিদুলের দেহ উদ্ধার হয়। 

    পুলিশ সূত্রের খবর, রাধাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সব্জি ব্যবসায়ী রহিদুল ইসলামের সঙ্গে জিগরের দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। এই কারণে মাঝেমধ্যেই রহিদুল, জিগরের বাড়িতে যেতেন। সূত্রের খবর, জিগরের বাড়িতে বারবার যাওয়ার ফলে তার স্ত্রীর সঙ্গে রহিদুলের বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারার পর থেকেই জিগর রহিদুলকে খুন করার পরিকল্পনা শুরু করে। 

    সূত্রের খবর, গত ১৯ তারিখ বৃহস্পতিবার রাত ন'টার পর রাহিদুলকে ফোন করে একটি জায়গায় দেখা করতে বলে জিগর। রহিদুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে  তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ২০ তারিখে রহিদুলের দাদা কবিরুল ইসলাম ভরতপুর থানায় ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার তদন্ত করতে নেমে সোমবার সন্ধে নাগাদ ভারতপুর থানার পুলিশ জিগর এবং তার ভগ্নিপতি আফসার শেখকে গ্রেপ্তার করে। 

    পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় বৃহস্পতিবার ঝিকরা গ্রামের একটি মাঠে তিনজনে মিলে মদ্যপান করে। এরপর রহিদুলকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল। পরে আফসার এবং জিগর দু'জন মিলে গ্রামের একটি প্রান্তে মাঠের মধ্যে মাটি খুঁড়ে দেহটি খবর দিয়ে দেয়। 

    মৃত রহিদুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, 'বৃহস্পতিবার রাত ন'টা নাগাদ কাজ থেকে আমার স্বামী বাড়ি ফিরে আসে। এরপর তাকে কেউ ফোন করে ডাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু তারপর থেকে রহিদুলের আর কোনও খোঁজ পাচ্ছিলাম না।' ওই মহিলা দাবি করেন, 'আমার স্বামীর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। তাই কী কারণে এই খুন তা আমি জানিনা।'
  • Link to this news (আজকাল)