অতি ভারী বৃষ্টিতে হলুদ সতর্কতা জারি তিস্তা-জলঢাকায়, ভূমিধসে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক
প্রতিদিন | ২৫ জুন ২০২৫
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ভারী বর্ষণের জেরে ফের ভূমিধসে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। অবরুদ্ধ কালিম্পং জেলার ২৯ মাইল, কালীঝোড়া, শ্বেতীঝোড়া, সেলফিদারা, বিরিকদারার মতো একাধিক এলাকা। সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যানজটে নাকাল দশা যাত্রীদের। এদিকে উত্তরের সমতলে অতিভারী বৃষ্টির জেরে মহানন্দা, তিস্তা, জলঢাকা-সহ প্রতিটি নদীর জলস্তর বাড়ছে। জলবন্দি বহু নিচু এলাকা। তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচদপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গজলডোবা, সরস্বতীপুর, আলিপুরদুয়ার এবং কুমারগ্রামে অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুমারগ্রামে। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৭৭ মিলিমিটার। পাশাপাশি গজলডোবায় ২৪৭ মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে ২২৭ মিলিমিটার এবং সরস্বতীপুরে ২০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে সেবক, শিলিগুড়ি, চম্পাসারি, ওদলাবাড়ি এবং বারোবিসা এলাকায়। সেবকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৯৬ মিলিমিটার। শিলিগুড়িতে ১৪৬ মিলিমিটার, চম্পাসারিতে ১১৭ মিলিমিটার, ওদলাবাড়িতে ১৬৩ মিলিমিটার এবং বারোবিসায় ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের কিছু অংশে অতিরিক্ত ভারী বর্ষণ হয়েছে। তার জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ভূমিধস দেখা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার সড়ক বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লিখুবীরে ভূমিধসের যান চলাচল পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়েছে। রাস্তাটি খোলা থাকলেও পাহাড় থেকে অবিরাম পাথর গড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনের তরফে গাড়িচালক ও যাত্রীদের সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে ভারী বর্ষণের জেরে ফুঁসছে মহানন্দা, তিস্তা, জলঢাকা, চেল, ঘিস-সহ বিভিন্ন নদী। ফুলবাড়িতে মহানন্দা ব্যারাজে জলস্তর বেড়েছে। আগামী শুক্রবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।