পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে মঙ্গলবার মাটি খুঁড়ে তোলা হল রহিদুল ইসলাম (৩৫)-এর মৃতদেহ। ওই ঘটনায় পুলিশ দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার পশ্চিমপাড়ার ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ তারিখে রাত ৯টা নাগাদ রহিদুল ওরফে মিঠুনের মোবাইলে ফোন আসে। সেই ফোন পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এর পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে পর দিন ভরতপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকজন। পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা মাঠের মধ্যে রহিদুলের চটি পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়।
এর পরে রহিদুলের দাদা কবিরুল ইসলাম খুনের মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই ভরতপুর থানার পশ্চিমপাড়ার জিগর শেখ ও তার ভগ্নিপতি মনোহরপুরের আফসার শেখকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে, খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ঝিকরা উত্তরপাড়া গ্রামের কবরস্থানের মধ্যে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে রহিদুলের দেহ।
মঙ্গলবার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকের উপস্থিতিতে রহিদুলের মৃতদেহ মাটি থেকে তুলে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রহিদুলের স্ত্রী সার্জিনা বিবির দাবি, তাঁর স্বামী সব্জি ব্যবসা এবং মুরগির দোকান নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। রহিদুলের কোনও শত্রু ছিল না।
ভরতপুর থানার ওসি শিবনাথ মণ্ডল জানান, জিগর পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে পুনেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কিছু দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন রহিদুলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক আছে। সেই কারণে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে ফাঁকা মাঠের মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ওই খুনে জিগরের সঙ্গী ছিল তার এক ভগ্নিপতিও।
ধৃতদের মঙ্গলবার কান্দি এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু'জনের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।