• বীরভূমের দুই হাসপাতালে নেই এমআরআই পরিষেবা, ভোগান্তি
    বর্তমান | ২৫ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: জেলার সরকারি দুই হাসপাতালে কোনও এমআরআইয়ের বন্দোবস্ত নেই। ফলে নাজেহাল অবস্থা রোগীদের। এমআরআইয়ের প্রয়োজন হলে চিকিৎসকরা রোগীদের বর্ধমানে রেফার করছেন। বেশকিছু ক্ষেত্রে রেফার করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদেও। বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে আকছার এই ঘটনা ঘটছে। সমস্যা সমাধানে জেলাবাসীর দাবি, এই দুই হাসপাতালে দ্রুত এমআরআই পরিষেবা চালু হোক। এবিষয়ে ইতিমধ্যে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বিধানসভায় দাবিও তুলেছেন। তিনি অবশ্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালুর বিষয়ে সরব হয়েছেন। বিকাশবাবু বলেন, এমআরআইয়ের প্রয়োজন হলেই রোগীদের ভিনজেলায় রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালুর বিষয়ে আবেদন জানিয়েছি। এখানে এমআরআই চালু হলে আখেরে জেলার সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি জেলার চিকিৎসা পরিকাঠামোও অনেকটাই উন্নত হবে।

    চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার অধীন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অন্যতম। প্রতিদিনই জেলার নানা প্রান্তের মানুষ  পরিষেবা পেতে এই হাসপাতালে পৌঁছান। এছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু মানুষের আনাগোনা রয়েছে এখানে। অন্যদিকে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গুরুত্বও যথেষ্ট। যদিও দুই স্বাস্থ্য জেলার কোনও প্রতিষ্ঠানেই এমআরআই পরিষেবা নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন অনুসারে রোগীদের ভিনজেলায় রেফার করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা থাকে না। এক্ষেত্রে ভরসা বর্ধমান। যদিও বেশকিছু ক্ষেত্রে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের মুর্শিদাবাদেও পাঠানো হয়। ফলত বহু ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলের রোগীর পরিবারের সদস্যদের আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। সিউড়ির বাসিন্দা বিকাশ ঘোষ বলেন, এমআরআইয়ের জন্য আমাদের বর্ধমানের উপরই নির্ভর করতে হয়। সেক্ষেত্রে দূরত্ব ও অর্থ খরচ বেশি হয়। এই বিষয়ে এবার অন্তত সরকারের নজর দেওয়া উচিত। 

    সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার প্রকাশচন্দ্র বাগ বলেন, এই হাসপাতালে এমআরআইয়ের কোনও অনুমোদন নেই। তবে এমআরআইয়ের বন্দোবস্ত হলে খুবই ভালো হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্য প্রয়োজনীয় আর্থিক অনুমোদনও দরকার। অন্যদিকে, রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, এনিয়ে আমরা দরবার করেছিলাম। তবে জানতে পেরেছি এখানে এমআরআই চালু হবে। সরকার এনিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। যদিও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু জানতে পারিনি।  প্রতীকী ছবি
  • Link to this news (বর্তমান)