• জঞ্জাল, বৃষ্টির জলে পানাগড়ের রেলপাড়ের রাস্তা যেন নরককুণ্ড
    বর্তমান | ২৫ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানকর: পঞ্চায়েতের দেওয়া ডাস্টবিন ভরে গিয়েছে আবর্জনায়। অভিযোগ, পানাগড়ের রেলপাড় সহ বাকি অংশে নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই হয় না। বৃষ্টির জমা জলে জায়গাটা যেন নরকুণ্ড হয়ে ওঠে। কাজেই জঞ্জাল ও নিকাশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাইছেন পানাগড়ের বাসিন্দারা। 

    বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য এলাকায় যে সাফাই কর্মী দেওয়া হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। আর নিকাশিতে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। তার ফল মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।

    পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমীর বিশ্বাস বলছেন, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পঞ্চায়েত তার নিজস্ব তহবিল থেকে জঞ্জাল সাফাইয়ের চেষ্টা করছে।

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনবসতি বাড়ছে পানাগড়ে। রেল লাইনের দু’পাশেই বেড়েছে জনঘনত্ব। একদিকে, কাঁকসা পঞ্চায়েত, থানা, ব্লক হাসপাতাল তো অন্যদিকে পানাগড়ের সারদাপল্লি-সহ সিলামপুর, ভরতপুর, রণডিহার মতো গ্রাম। কাঁকসা ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা কাজের প্রয়োজনে পানাগড়ে আসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলপাড়ে নিয়মিত নোংরা আবর্জনা না পরিষ্কার করায় তীব্র দুর্গন্ধে পথ চলা দায় হয়ে উঠেছে। রেলপাড় দিয়ে যাতায়াত করতে হলে নাকে রুমাল চাপা না দিলে অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসে বলে অভিযোগ পথচারীদের। স্থানীয় বাসিন্দা উমা সিনহার ক্ষোভ, ড্রেন পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। ডাস্টবিনে ময়লা জমছে। নোংরা জমে থাকায় জায়গাটি কুকুর, বিড়ালের আস্তানা হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে খাবারের ফেলে দেওয়া  উচ্ছিষ্ট নিয়ে কুকুর, বিড়াল গোটা রাস্তায় ছড়ায়। সঙ্গে আছে ইঁদুরের উৎপাতও।

    সুব্রত মণ্ডলের কথায়, আর্বজনা পরিষ্কার হয় না এখানে। ড্রেনও পরিষ্কার হয় না। বর্ষায় জল জমে যায়। সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেনের নোংরা জল বাড়ি ঢুকে পড়ে। তখন রেলপাড়ের রাস্তায় জল জমে যায়। নেতারা সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। রেলপাড়ের বাসিন্দাদের এই রাস্তা দিয়েই পানাগড় স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে যেতে হয়। 

    কাঁকসার সিংপাড়ার বাসিন্দারাও নিকাশি সমস্যা নিয়ে কয়েকদিন আগেই বিডিও’র দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তায় বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে থাকে। পঞ্চায়েতকে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি।   

    স্থানীয় বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতা পুরব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন এলাকায় জল জমার কথা বহুবার পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি। নিকাশির বেহাল দশা দেখেও জনপ্রতিনিধিদের কোনও হেলদোল নেই। কাগজে, কলমে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু, সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)