• কোলিয়ারি বেসরকারিকরণের পর শ্রমিক বঞ্চনা, কুলটিতে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ২৫ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: কোলিয়ারি বেসরকারিকরণের প্রথম আঁচ এসে পড়ল কুলটিতেই। কয়লাখনি জাতীয়করণের আগে যে শ্রমিক বঞ্চনা হতো, তারই ‘ট্রেলার’ দেখা যাচ্ছে এখানে। এমনই অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থা স্থানীয়দের কাজ দিচ্ছে না। অথবা কাজ দিলেও তাঁরা দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। তাঁদের কোনও পরিচয়পত্র নেই। পিএফ, ইএসআই কাটা হচ্ছে না। এমনকী, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে মজুরিও দেওয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার এলাকার বাসিন্দারা চিনাকুড়ি-১, ২ ও ৩ নম্বর কোলিয়ারির গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান। দিনভর গেট আটকে আন্দোলন চলায় কোলিয়ারির কাজ স্তব্ধ হয়ে যায়। বিকেলে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ ৩ জুলাই আলোচনার প্রস্তাব দিলে আন্দোলন ওঠে।

    চিনাকুড়ি ও দুধেশ্বরী কোলিয়ারি আগে ইসিএলের অধীনে ছিল। তার মধ্যে চিনাকুড়ি ৩ নম্বর কোলিয়ারিটি একসময় এশিয়ার গভীরতম কয়লা খাদান ছিল। সোদপুর এরিয়ার এই তিনটি কোলিয়ারিই প্রায় দেড়বছর আগে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারপরই থেকেই বাসিন্দারা বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন। আশপাশের এলাকার মানুষ আন্দোলনের জন্য গড়ে তুলেছেন ‘সমস্ত গ্রাম কমিটি’। প্রথমে স্থানীয়দের কাজের দাবিতে জুনুট, বেজডি, বিনোদবাঁধ, ভালাডি, চিনাকুড়ি, রাধানগর সহ ১২টি এলাকার মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর বেসরকারি সংস্থা ৫৫জনকে কাজ দেয়। কিন্তু, সেই কাজও বঞ্চনার নামান্তর বলে আন্দোলনকারীরা মনে করছেন। আন্দোলনকারী সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ জগাই মাহাত বলেন, শ্রমিকরা ৩৫০টাকা মজুরি পান। তাঁদের কোনও পরিচয়পত্র নে঩ই। পিএফ, ইএসআইয়ের সুবিধা মেলে না। এমনকী, মজুরি ব্যাঙ্কের মাধ্যমেও দেওয়া হয় না। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের চাষের জমির নীচ থেকে কয়লা তুলে নেওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে আরও বেশি মানুষকে কাজ দিতে হবে। আন্দোলনকারী করুণাময় বাউরি বলেন, কোলিয়ারি বেসরকারিকরণের পর থেকেই বঞ্চনা চরমে উঠেছে। আমরা ১০দফা দাবি জানিয়েছি। বৈঠকে সমস্যার সমাধান না হলে বড় আন্দোলনে নামা হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)