সংবাদদাতা, ঘাটাল: বয়স সবে ১৪ বছর। সেই বয়সেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাশের গ্রামের ৩৫ বছরের এক যুবকের সঙ্গে আলাপ। পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করে নেয় চন্দ্রকোণা থানার আগর গ্রামের ওই নাবালিকা। পুলিসের কাছে অভিযোগ জমা পড়তে সোমবার ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। যদিও পাশের গ্রাম মাংরুলের অভিযুক্ত ওই যুবক এখনও অধরা। পুলিস জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গলবার ওই নাবালিকাকে ঘাটাল আদালতে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকেই বাবা-মায়ের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া নাবালিকা ওই থানারই বেউড়গ্রাম হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। নাবালিকার বাবা কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে থাকেন। কিছু দিন হল তিনি পরিবারের সবাইকে তাঁর কর্মস্থলে নিয়ে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ঘাটাল আদালতে দাঁড়িয়ে নাবালিকার বাবা ও মা জানান, সেখানে সময় কাটানোর জন্য মেয়েকে স্মার্টফোন দিয়েছিলাম। তাতেই আমাদের যত কাল হল। মেয়েকেই দোষারোপ করে তাঁরা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মাংরুল এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমে পড়ে মেয়ে। বিষয়টি সেভাবে বুঝতে পারেননি তার বাবা মা। সম্প্রতি গ্রামের শীতলা পুজোতে সপরিবারে ফের গ্রামে এসেছিলেন। বালিকার বাবা বলেন, গত সোমবার রাত ১১টা নাগাদ বাথরুমে যাওয়ার নাম করে মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
পরে বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মাংরুলের একটি বেকার যুবককে বিয়ে করেছে। ঘটনাটি পুলিসকে জানানো হয়। পুলিস সোমবার ওই যুবকের বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।