বন্যার জলে ভেঙেছে সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ
বর্তমান | ২৫ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, ঘাটাল: বন্যার জলে ভেঙে গিয়েছে কংক্রিটের ব্রিজ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একাধিক গ্রামপঞ্চায়েত। দুর্ভোগে চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের ভাণ্ডারচণ্ডী এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগের সমস্যা হচ্ছে। সেকথা স্বীকার করেছেন বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। কংক্রিটের ব্রিজটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত বিকল্প পথে যোগাযোগ চালু রাখার চেষ্টা চলছে।
ভাণ্ডারচণ্ডী এলাকায় কেঠিয়া নদীর উপর একটি ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজের অবস্থা যখন ভালো ছিল, তখন ওই ব্রিজ দিয়ে মনোহরপুর-১, মনোহরপুর-২, এবং ক্ষীরপাই শহরের একাংশের মানুষ ওই ব্রিজটি ব্যবহার করতেন। গত সপ্তাহের হড়পা বানের জলের চাপে ওই কংক্রিটের ব্রিজটি ভেঙে গিয়েছে। ফলে ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের মাথায় হাত। এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোষ, প্রশান্ত মণ্ডল প্রমুখের আক্ষেপ, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে প্লাবিত হয়েছিল এই এলাকা। এর ফলে এলাকার চাষের ফসল, বাড়ি সহ প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এলাকা থেকে বন্যার জল নামতে ব্রিজের অবস্থা দেখে আমরাও ভেঙে পড়েছি। ওই ব্রিজ আর ব্যবহার করতে না পেরে আমাদের বহু ঘুরপথ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর ফলে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। এলাকায় আর কোনও বড় গাড়ি, এমনকী টোটো, অটো ঢুকতে পারবে না। তাই দ্রুত ব্রিজ মেরামত না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। ব্রিজটি না সারালে যাতায়াতের পাশাপাশি কৃষিকাজের সমস্যা হবে।
চন্দ্রকোণা-১ পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ বলেন, ব্রিজটির জন্য বহু মানুষের সমস্যা হচ্ছে জেনেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই সবে বর্ষা শুরু হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে আবার এলাকা প্লাবিত হয়ে যেতে পারে। তাই ব্রিজটি সংস্কারের কাজ যদি শুরুও করা যায় তাহলে সেই কাজও ফের নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সে জন্য বর্ষা না কাটলে ব্রিজটি সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভবনা কম বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।