দোকানির স্ত্রীকে অনিচ্ছাকৃত খুন ও হামলার অভিযোগে ধৃত ক্রেতা
বর্তমান | ২৫ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগের মাংসের দাম না মেটানোয় নতুন করে আর মুরগির মাংস বিক্রি করতে চাননি দোকানি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানির মাথায় চপার দিয়ে আঘাত করে বসে ক্রেতা! স্বামীকে রক্ষা করতে দোকানির স্ত্রী মায়াদেবী এগিয়ে এলে, তিনিও রেহাই পাননি। ওই ক্রেতা তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরেরদিন মায়াদেবীর মৃত্যু হয় হাসপাতালে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ক্রেতা গোবিন্দকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামপুকুর থানার পুলিস। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার এই খবর জানিয়েছেন।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুকুর থানা এলাকার ৪৭/সি শ্যামবাজার স্ট্রিটে। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ। প্রাথমিক তদন্তে শ্যামপুকুর থানার পুলিস জানতে পেরেছে, গোবিন্দ মুরগির মাংস কিনতে এসেছিল রনি সাঁতরার দোকানে। কিন্তু আগের মাংসের দাম না মেটানোয় রনি আর তাকে মাংস বিক্রি করতে চাননি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গোবিন্দ মাংসের দোকানে ভাঙচুর শুরু করে। এমনকী দোকানে থাকা চপার তুলে নিয়ে রনির মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মাংস দোকানির স্ত্রী মায়া সাঁতরা। হামলার প্রতিবাদ করলে তিনি গোবিন্দের হাত থেকে রেহাই পাননি। অভিযোগ, গোবিন্দ তাকে ধাক্কা মারে। অভিযোগ, পাশাপাশি তাদের খুনের হুমকি দেয় ওই ক্রেতা। এতে ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মায়াদেবী। পরে তাঁকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। মায়াদেবীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় মাংস দোকানির বাবা সোমনাথ সাঁতরার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ জুন শ্যামপুকুর থানা ক্রেতা গোবিন্দের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, হুমকি, ভাঙচুর, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, ধৃত গোবিন্দকে মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হলে, আদালত তাকে পয়লা জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী দীপনারায়ণ পাকড়াশি।