• থার্মোকল থেকে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম মুক্তোর মালা, বোতাম, ফটোফ্রেম
    বর্তমান | ২৫ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: থার্মোকল থেকে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম মুক্তোর মালা, বোতাম! থার্মোকল-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এই সব তৈরি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ধাপায় সেই ইউনিটের উদ্বোধন করলেন কলকাতায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার, স্থানীয় কাউন্সিলার তথা মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি, এদিন মেশিনের মাধ্যমে আধুনিক উপায়ে বর্জ্য পৃথকীকরণের জন্য নয়া ইউনিটেরও উদ্বোধন হয়। 

    কলকাতায় প্রতিদিন বহু টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি বিক্রি হয়। এছাড়া নানা ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রীও বিক্রি হয়। যন্ত্রগুলি মোটা থার্মোকল দিয়ে মুড়ে শো-রুম থেকে ডেলিভারি করা হয় ক্রেতাদের। সেই থার্মোকল কেউ বাড়ির ছাদে বা স্টোর রুমে ফেলে রাখেন। কেউ ফেলে দেন রাস্তায়। এই বর্জ্য দূষণ তৈরি করে। এতদিন থার্মোকল-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের কোনও ব্যবস্থা কলকাতায় ছিল না। ফলে প্লাস্টিকজাত অপচনশীল বর্জ্যের সঙ্গে থার্মোকল সংগ্রহ হলেও তা প্রক্রিয়াকরণের সুযোগ ছিল না। অনেক সময় পুরসভার জঞ্জাল সংগ্রহকারী কর্মীরা তা নিতে অস্বীকার করতেন। সেই সমস্যার সমাধানে এবার থার্মোকল-বর্জ্য প্রসেসিং ইউনিট গড়েছে পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, থার্মোকল গুঁড়ো করে যে উপাদান তৈরি হচ্ছে, তা দিয়ে ফটোফ্রেম, দরজা-জানালার বিট, গয়নার বাক্স তৈরি করা যায়। 

    পুরসভার জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শহরে প্রতিদিন সাত টন থার্মোকল-বর্জ্য জমে। এর পুরোটা পুরসভা সংগ্রহ করতে পারে না। মোটামুটি এক থেকে দেড় টন থার্মোকল আসে ধাপায়। থার্মোকল পড়ে থাকলে তা নষ্ট হয়ে মাটির ক্ষতি করে। তাই প্রসেসিং ইউনিট তৈরি হয়েছে। রোজ এক টন থার্মোকল প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, প্রসেসিং না হওয়ায় এতদিন থার্মোকল-বর্জ্য সংগ্রহ করা হতো না। তবে এবার নিয়মিত বাড়ি বাড়ি থার্মোকল সংগ্রহ হবে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে থার্মোকলের প্রায় ৩০ টন গুঁড়ো ধাপায় পড়ে আছে। এর বাইরেও বেশ কয়েক টন থার্মোকল রয়েছে। এসবই প্রসেসিং করা হবে। 

    ১৪০ ধরনের বর্জ্য পৃথকীকরণ করা যাবে, এমন আধুনিক ইউনিটের এদিন উদ্বোধন হয় ধাপায়। এই মেশিনের দাম ১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। সেখানে রোজ ১০০ মেট্রিক টন বর্জ্য পৃথকীকরণ করা যাবে সহজেই। প্রতিদিন ১০ মেট্রিন টন প্লাস্টিক-বর্জ্য পুনর্নবীকরণ করতেও প্লান্ট চালু করা হল ধাপায়।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)