নির্যাতিতার পরিবার আরজি করে ঘটনাস্থল দেখতে চাইলে আপত্তি নেই, হাই কোর্টে জানাল সিবিআই
আনন্দবাজার | ২৫ জুন ২০২৫
আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার ঘটনাস্থল দেখতে চাইলে আপত্তি নেই, মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে জানাল সিবিআই। এর পরেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মৃতার পরিবারকে ওই মর্মে লিখিত আবেদন করতে জানান।
অকুস্থল দেখতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার। সোমবার তাদের আইনজীবী ফিরোজ় এডুলজি হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি ঘোষ। নির্যাতিতার বাবা-মা আদালতে আবেদন করে জানান, তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। তাঁদের মেয়ের উপর যে নির্যাতন হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে এক বার ঘটনাস্থলটি সরেজমিনে দেখতে চান বলে জানান তাঁরা।
গত অগস্টে আরজি কর হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয় চিকিৎসক-ছাত্রীকে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সিভিককে হেফাজতে নেয় তারা। শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তাতে অভিযুক্ত হিসাবে একমাত্র সঞ্জয়ের নামই উঠে আসে। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত।
নির্যাতিতার পরিবার সিবিআইয়ের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শিয়ালদহ আদালত আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলার রায় দেওয়ার আগে এই বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে আবেদন করা হয়। যদিও বিচারপতি ঘোষ সেই সময় নির্যাতিতার পরিবারের ওই আবেদন শুনতে চাননি। বিচারপতি ঘোষ জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া শুনানি সম্ভব নয়। সেই মতো শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে হাই কোর্টে ওই মামলার শুনানি হতে পারে। এর পরে হাই কোর্টে বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। সেখানে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। এর পর অকুস্থলে যেতে চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করে নির্যাতিতার পরিবার। সিবিআই জানাল, এতে তাদের আপত্তি নেই।