• ইডির মামলায় জামিন পেলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি, তবে এখনই জেলমুক্তি নয়
    আনন্দবাজার | ২৫ জুন ২০২৫
  • ইডির মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে এখনই তাঁর জেলমুক্তি হচ্ছে না। ইডির মামলায় জামিন পেলেও সিবিআই মামলায় তাঁকে আপাতত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে!

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দায়িত্বে ছিলেন কল্যাণময়। ২০১২ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির প্রশাসক হন তিনি। সব মিলিয়ে চার বছর, অর্থাৎ ২০১৬ পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন তিনি। সেই বছরেই তাঁকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয়। ২০২২ সালের ২২ জুন তাঁর মেয়াদ শেষ হয় ওই পদে। কল্যাণময়ের আমলে স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে কল্যাণময়কে গ্রেফতার করে সিবিআই।

    শুধু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি নন, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া উপদেষ্টা কমিটিরও অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ ‘বেআইনি’ ভাবে আঁকড়ে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। তিনি পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন ওই পদের মেয়াদ দু’বার বৃদ্ধি করা হয়। প্রথমে ওই পদে থাকার বয়ঃসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। তার পর ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ করা হয়। কল্যাণময় অবশ্য ৬৮ পেরিয়েও আরও ১৬ মাস সবেতন সামলেছেন পর্ষদের দায়িত্ব। কেন তিনি অতিরিক্ত বেতন নিয়ে চাকরি করছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এসএসসির দুর্নীতি তদন্তে নেমে ইডির হাতে পরে গ্রেফতার হন কল্যাণময়।

    ইডির মামলায় জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। যদিও তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেছিল ইডি। কেন কল্যাণময়কে জামিন দেওয়া হবে না, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মঙ্গলবার ইডির মামলায় কল্যাণময়ের জামিন মঞ্জুর করেছে হাই কোর্ট।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)