• ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ জয়ের অন্যতম স্মারক ঐতিহ্যবাহী প্যাটন ট্যাঙ্ক এখন ব্যবসায়ীদের মালপত্র রাখার গোডাউন...
    আজকাল | ২৫ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচবিহারের সাগরদিঘির দক্ষিণ–পূর্ব কোণে রয়েছে ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ জয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্মারক একটি প্যাটন ট্যাঙ্ক। সাগরদিঘির পাড়ে থাকা এই প্যাটন ট্যাঙ্কটি বর্তমানে জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রও বটে। কোচবিহারে বেড়াতে আসা হাজার হাজার পর্যটক প্যাটন ট্যাঙ্কটি দেখতে আসেন। অথচ সঠিক দেখভালের অভাবে ট্যাঙ্কটির নিচে ও পিছন দিকটি এখন অলিখিতভাবে ব্যবসায়ীদের মালপত্র রাখার গোডাউন হয়ে উঠেছে।

     জানা গিয়েছে, ট্যাঙ্কটির পিছনে বিভিন্ন চেয়ার, টেবিল, ফলের ঝুড়ি, জলের ড্রাম–সহ বিভিন্ন জিনিস রাখা রয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিক দিয়ে বড় বড় বাক্সের মতো জিনিসপত্র বেঁধে রাখা রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ঐতিহাসিক এই স্মারকটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন সৈনিক সংঘের ভূমিকা নিয়েও। এর দেখভালের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত  প্রাক্তন সৈনিক সংঘের সম্পাদক তপন চৌধুরী বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী ট্যাঙ্কটির সামনে সংগঠনের তরফে আমরা প্রতিবছর কার্গিল দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালন করি। সেই ট্যাঙ্কের পিছনে এভাবে মালপত্র রাখা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’ 

    এবিষয়ে কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, ‘ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের স্মারক এখন ভাগের মা হয়ে গিয়েছে। যার সঙ্গে কোচবিহারের এক সন্তানের স্মৃতিও জড়িয়ে রয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’

     ১৯৭১ সালে ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের পরেই পাকিস্তানের এই ট্যাঙ্কটি এখানে নিয়ে আসা হয়। কোচবিহার শহরের বাসিন্দা বীরেন ভট্টাচার্য কোচবিহারের মহারাজার সেনাবাহিনীতে ছিলেন। কোচবিহার ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ার পর তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন। তিনিই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পর এটিকে এখানে নিয়ে আসেন। কিন্তু বর্তমানে এই বেহাল দশায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের।

    দ্য কোচবিহার রয়্যাল ফ্যামিলি সাকসেসার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মুখপাত্র কুমার মৃদুলনারায়ণ বলেন, ‘প্যাটন ট্যাঙ্কটি একটি স্মৃতি স্মারক। সাগরদিঘির সংরক্ষিত এলাকায় রয়েছে। ফলে এটিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরকিদেরও দায়িত্ব। এটাকে ডাস্টবিন বানানো ঠিক হবে না।’

     
  • Link to this news (আজকাল)