• বচসার জেরে ধাক্কা, হাসপাতালে মৃত্যু মহিলার
    আনন্দবাজার | ২৫ জুন ২০২৫
  • মাংসের দোকানে বচসার জেরে ভাঙচুর চালিয়েছিল এক ব্যক্তি। এর পরে মাংস বিক্রেতার মাথায় সটান চপারের কোপ মারে সে। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এলে মাংস বিক্রেতার স্ত্রীকেও ধাক্কা মারা হয়। তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়ায় স্বামীর পাশাপাশি তাঁকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সোমবার শোভাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর পরে মঙ্গলবার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মায়া সাঁতরা। এই ঘটনায় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত গোবিন্দকে। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার শ্যামপুকুর থানায় গিয়ে শোভাবাজারের কানারাজাবাগান বস্তির বাসিন্দা সোমনাথ সাঁতরা জানান, তিনি এক জন মাছ বিক্রেতা। তাঁর ছেলে রনির মাংসের দোকান রয়েছে। সকাল ১০টা নাগাদ সেখানে গোবিন্দ মাংস কিনতে এলে বকেয়া টাকা মেটানোর কথা বলেন রনি। টাকা না মেটালে মাংস দেবেন না, সে কথাও জানান। অভিযোগ, এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দোকানে ভাঙচুর শুরু করে গোবিন্দ। বাধা দিলে মাংস কাটার চপার দিয়ে রনির মাথায় কোপ বসিয়ে দেয় সে। স্থানীয়দের থেকে সেই খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রনির স্ত্রী মায়া। গোবিন্দ তখন তাঁকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ।

    এর পরে অসুস্থ বোধ করায় রনির সঙ্গে মায়াকেও স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১০ (অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো), ৩৫১ (২) (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৩২৪ (৪) (ভাঙচুর) এবং ১০৫ (মৃত্যু ঘটতে পারে জেনেও ধাক্কা দেওয়া) ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)