এই সময়: স্টেশনে ট্রেন থামানোর জন্য চালক ব্রেক কষলেই উৎপন্ন হচ্ছে বিদ্যুৎশক্তি। সেই বিদ্যুৎকে আবার ট্রেন চালানোর কাজেই ব্যবহার করা হয়। লন্ডন, টোকিও এবং নিউ ইয়র্ক মেট্রোয় চালু রয়েছে শক্তি সংরক্ষণের এমন ব্যবস্থা।
ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলা জাপানের হাই–স্পিড শিনকানশান ট্রেনেও এ ধরনের ব্রেক–ই ব্যবহার করা হয়। ইউরোপের হাই–স্পিড ট্রেনেও এমন ব্যবস্থা। এবং এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কলকাতা মেট্রোরেল–ও।
এই 'রিজেনারেটিভ ব্রেক সিস্টেমের' প্রয়োগে কলকাতা মেট্রো যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে, তাতে ২০২৪–'২৫ অর্থবর্ষে ৮ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
কার্বন নিষ্ক্রমণের পরিমাণ কমাতে ভারতীয় রেল কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে। তার জন্য বিভিন্ন রেল ইয়ার্ড, ওয়ার্কশপ, কারশেড এবং ভারতীয় রেলের বাড়িগুলোর ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে চলছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। তবে এ ক্ষেত্রে কলকাতার মেট্রোর রেকে রিজেনারেটিভ ব্রেকের ব্যবহার অবশ্যই ব্যতিক্রমী।
কলকাতা মেট্রো জানাচ্ছে, এখন সব ক'টি লাইন মিলিয়ে রেক চলছে মোট ৩৭টি। স্টেশনে রেক থামার সময়ে একদিকে যেমন ব্রেকের ব্যবহার করা হয়, তেমনই এর পাশাপাশি ট্রেনের মোটরগুলো বিপরীত ভাবে কাজ করতে শুরু করে। এ ভাবে রেকের গতিশক্তিকে পরিবর্তিত করা হয় বিদ্যুৎশক্তিতে।
মেট্রো জানিয়েছে, এই পদ্ধতিতে ১৭ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের পুনরুৎপাদন করা সম্ভব। ২০২৪–'২৫ অর্থবর্ষে এই পদ্ধতিতে এক কোটি ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়েছে। যার দাম ৮ কোটিরও বেশি। এ ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ১৩ হাজার ৫০০ টনের বেশি কার্বন নিষ্ক্রমণ কমানো গিয়েছে বলে মেট্রো জানিয়েছে।