রাজ বেশে জগন্নাথ, মাহেশে নবযৌবন উৎসব ঘিরে ধুমধাম আয়োজন
আজকাল | ২৫ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাহেশের ৬২৯ বছরের জগন্নাথের রথযাত্রা উৎসবের প্রাক্কালে এক বিশেষ উৎসব হল নবযৌবন উৎসব। এদিনই একমাত্র যখন জগন্নাথদেবের হাত দেখা যায় মহেশের মন্দিরে। নবযৌবন উপলক্ষ্যে জগন্নাথদেবকে পড়ানো হয় রুপোর হাত। একদম রাজ বেশে সাজানো হয় মহাপ্রভুকে।
মহাপ্রভুর নবযৌবন উৎসবের দিনে একমাত্র যেখানে মাহেশের জগন্নাথদেবকে পড়ানো হয় রুপোর হাত। স্নানযাত্রা যাত্রা উৎসবের পর জগন্নাথদেবের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তাই মহাপ্রভুকে একদম একান্তে মন্দিরের গর্ভগৃহে ১৫ দিনের জন্য নিভৃত বাসে রাখা হয়। এই ১৫ দিন মন্দিরের সমস্ত দরজা বন্ধ থাকে। এমনকী ভক্তদের নাম কীর্তন বন্ধ থাকে ওই সময়।
১৫ দিন বাদে মহাপ্রভু সুস্থ হয়ে উঠলে সেই দিনটিকে পালন করা হয় নবযৌবন উৎসব রূপে। এদিন মহাপ্রভুর জন্য ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করা হয়। একইসঙ্গে এই দিনে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা তিন জনকে হাত ও অলঙ্কার পরিয়ে নতুন রূপে রাজ বেশে সাজানো হয়।
কথিত রয়েছে, জগন্নাথদেব এই দিন জ্বর থেকে সেরে উঠে মহানন্দে থাকেন। দীর্ঘ ১৫ দিন মন্দিরের মধ্যে নিভৃত বাসায় থাকার পর আজই প্রথম মহাপ্রভুকে দর্শনের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হয়। এই নবযৌবন উৎসবের এক বিশেষ মাহাত্ম্য হল জগন্নাথদেবের হাত। নবযৌবন উৎসবের দিন জগন্নাথদেবের শরীরে হাত লাগানো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস এই দিন জগন্নাথদেব রাজ বেশে থেকে সমস্ত ভক্তদের দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেন। এই একটি দিনই জগন্নাথদেবের শরীরে হাত দেখতে পাওয়া যায়।
মাহেশের নবযৌবন উৎসবের তরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল এদিন সকাল থেকেই। ঘড়ির কাঁটায় সাতটা বাজতে না বাজতেই মন্দিরের মূল ফটোক সহ গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। এই দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও পালিত হয় নবকলেবর উৎসব। সেখানেও জগন্নাথদেবকে জাঁকজমক করে আরাধনা করা হয়। ঠিক এর একদিন বাদেই মূল রথযাত্রা উৎসব। কথিত রয়েছে এই নবযৌবন উৎসবের পরেই জগন্নাথদেব রথে চড়ে ঘুরতে বের হন তার মাসির বাড়ি।