শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষায় ‘চাকরি বিক্রি’র প্রমাণ কোথায়? প্রশ্নের মুখে সিবিআই
প্রতিদিন | ২৫ জুন ২০২৫
গোবিন্দ রায়: ফের হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে সিবিআই। আদালতের প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে সিবিআই বলছে, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের মতো এসএলএসটি শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষাতে অতিরিক্ত শূন্যপদে চাকরি বিক্রি হয়েছিল? সেই প্রশ্নই তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, এনিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে কোনও তথ্য-নথি রয়েছে কি না তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ১ জুলাই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে এনিয়ে সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, উচ্চপ্রাথমিক বা আপার প্রাইমারিতে শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষায় নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ওয়েটিং লিস্ট ছিল, তার থেকে নিয়োগের জন্য সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হয়। যা বেআইনিভাবে হয়েছে অভিযোগ তুলে মামলা হয় হাই কোর্টে। সেখানে রাজ্যের তরফে বারবার হাই কোর্টে আবেদন করা হয়, স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে সুপার নিউমেরারি পদে বা অতিরিক্ত পদে নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক। তবে সেই স্থগিতাদেশ বহাল রয়েছে। এদিন সেই মামলাতেই সিবিআইয়ের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “উচ্চপ্রাথমিকে কোনও সিবিআই তদন্ত নেই। তবে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায়। এক্ষেত্রে সিবিআই নিশ্চয়ই তদন্ত করতে গিয়ে এমন কিছু নথি বা তথ্য পেয়েছে, তার ভিত্তিতে এমন চার্জশিট দিয়েছে। সেই তদন্তের প্রক্রিয়া এবং নথি, তথ্য আদালত জানতে চায়।”
এদিন আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, সুপার নিউমেরারি পোস্ট কোনও চাকরি রক্ষার জন্য হতে পারে। কিন্তু চাকরি দেওয়ার জন্য হতে পারে না। অপরদিকে, সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে উল্লেখ রয়েছে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা পরীক্ষায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনারা বলেছিলেন যে পোস্ট বিক্রি করা হয়েছিল, এসএসসি মামলায় যেটা সিবিআই চার্জশিটে লিখছিল, তাহলে ঠিক ঘটনা এক্ষেত্রেও হয়ে থাকতে পারে?” বিচারপতি আরও বলেন, “এই দুটি পোস্টের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিয়ে তথ্য দিতে আশা করি সিবিআইয়ের পক্ষে খুব কষ্টের হবে না।”