• ৬২৯ বছরের ঐতিহ্য মেনে নবযৌবন উৎসব, ভক্তদের ঢল নামল মাহেশে
    এই সময় | ২৬ জুন ২০২৫
  • বছরে মাত্র একদিন। এ দিনই ভক্তরা দেখতে পান জগন্নাথ দেবের হাত। মাহেশের মন্দিরে নবযৌবন উৎসবের জন্য বিখ্যাত। শুক্রবার রথযাত্রা উৎসব, তার আগে বুধবার মাহেশে পালিত হলো নবযৌবন উৎসব। ৬২৯ বছরের রীতি মেনে, বুধবার মাহেশের নবযৌবন উৎসবের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল একদম সকাল থেকেই। ঘড়ির কাঁটায় সাতটা বাজতে না বাজতেই মন্দিরের মূল ফটক-সহ গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য।

    একমাত্র এই দিনেই মাহেশের জগন্নাথদেবকে পড়ানো হয় রুপোর হাত। কথিত রয়েছে, স্নানযাত্রা উৎসবের পরে জগন্নাথদেবের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তাই তাঁকে মন্দিরের গর্ভগৃহে ১৫ দিনের জন্য নিভৃত বাসে রাখা হয়। এই ১৫ দিন মন্দিরের সব দরজা বন্ধ থাকে, বন্ধ থাকে ভক্তদের নামকীর্তনও। ১৫ দিন পরে মহাপ্রভু সুস্থ হয়ে উঠলে সেই দিনটিকে পালন করা হয় নবযৌবন উৎসব রূপে। এ দিন জগন্নাথদেবের জন্য ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করা হয়। নতুন বেশে সাজিয়ে তোলা হয় জগন্নাথদেবকে। পরানো হয় রুপোর হাত। তাঁর সঙ্গেই বলরাম এবং সুভদ্রাকেও রাজবেশে সাজানো হয়। নবযৌবন উৎসবের দিনই প্রথম মহাপ্রভুকে দর্শনের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হয়। এই উৎসবের দিন জগন্নাথ দেবের বিগ্রহে হাত লাগানো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিনটি জগন্নাথদেব সব ভক্তদের দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন।

    মাহেশের জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন, ‘আজ মহাপ্রভুর প্রাণপ্রতিষ্ঠা, চক্ষুদান হয়, অভিষেক হয় হোম যাগ-যজ্ঞের মাধ্যমে। আমাদের প্রতিবছর নবযৌবন উৎসব হয়।’ ৬২৯ বছরের ঐতিহ্য মেনে সব রীতি-নীতি পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)