নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তোলা হল অশ্লীল ভিডিও, আটক রাজ্যের এই জনপ্রিয় ইউটিউবার ...
আজকাল | ২৬ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক নাবালিকাকে বিয়ে করে তার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা এবং তার অশ্লীল ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া- সহ একাধিক অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার পুলিশ নদিয়া জেলার ধুবুলিয়া থানা এলাকার একটি হোটেল থেকে এক বিখ্যাত ইউটিউবারকে আটক করল। সেইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার এক বন্ধুকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের যে নাবালিকাকে ওই বিখ্যাত ইউটিউবার বিয়ে করেছিল সেও নাবালক। বর্তমানে তার সমাজমাধ্যমের পাতায় অনুরাগীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ। গত ২২ জুন রেজিনগর থানায় ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে নাবালিকা বিবাহ এবং জোর করে যৌন সংসর্গ স্থাপনের অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর থেকেই পলাতক ছিল ওই নাবালক। মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রেজিনগর থানার পুলিশের একটি দল ধুবুলিয়া থেকে ওই নাবালককে ধরে। এর পাশাপাশি ওই নাবালককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অভিযোগে মহম্মদ মতিবুর বিশ্বাস নামে রেজিনগর থানার অন্তর্গত জানপুর এলাকার এক বাসিন্দাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসডিপিও (বেলডাঙা) উত্তম গড়াই জানান,' লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২), ১৪০(৩),৬৪, ৩৫৬(২) পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারা এবং শিশু বিবাহ রোধ আইনের ১০ ও ১১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।' তিনি জানান,' প্রধান অভিযুক্ত যেহেতু নাবালক তাই বুধবার তাকে বহরমপুরে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হচ্ছে। বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে অন্য অভিযুক্তকে পকসো আদালতে পেশ করা হচ্ছে।' পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ওই নাবালকের ফেসবুক এবং ইউটিউবের পাতায় কয়েক লক্ষ অনুরাগী রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম অনুরাগী ছিল মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানা এলাকার এক নাবালিকা। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ঘন ঘন মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে ওই নাবালিকার বাড়িতে আসতে থাকে নদিয়া জেলার বাসিন্দা জনপ্রিয় ওই ইউটিউবার। এরপর তাদের বিয়ে হয়ে যায়।
এসডিপিও বলেন,' মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে যে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে অভিযুক্ত ওই নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার পাশাপাশি তার মেয়ের পরিবারকে হুমকিও দিচ্ছিল।' নির্যাতিতা ওই নাবালিকা অভিযোগ করে,' আমার একটি ভিডিও ভাইরাল করে আমাকে ব্ল্যাকমেল করে জোর করে বিয়ে করা হয়েছিল। তবে আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই নিজের সমাজমাধ্যমের পাতা ব্যবহার করে আরও একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে আমার স্বামী। '
নাবালিকার মা অভিযোগ করেন,' আমার মেয়ের বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সেগুলো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত জামাই। এর পাশাপাশি আমাদেরকে আরও একাধিক হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে আমরা পুলিশে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছি।'