সংস্কার করা হবে উত্তরবঙ্গ স্টেট লাইব্রেরি: গ্রন্থাগার মন্ত্রী
বর্তমান | ২৬ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের উত্তরবঙ্গ স্টেট লাইব্রেরি সংস্কারের ব্যাপারে জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে জেলার বিধায়ক, মন্ত্রী কেউই কিছু বলেননি। কোনও আবেদনও করা হয়নি। জেলাশাসকের কাছে কেউ আবেদন করেননি। স্টেট লাইব্রেরি সংস্কারের প্রসঙ্গে এমনই আক্ষেপ রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর।
বুধবার কোচবিহার ডিএম অফিসের কনফারেন্স হলে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদকে নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ কুমার, কোচবিহারের ডিএম অরবিন্দকুমার মিনা সহ আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে স্টেট লাইব্রেরি পরিদর্শনে যান দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। সেখানে পড়ার জায়গা, বই রাখার জায়গা সহ রাজ আমলের বিভিন্ন নথি, পুরানো পুঁথি, ছবি ইত্যাদি খতিয়ে দেখেন তিনি। শীঘ্রই এই লাইব্রেরির বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলির পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বলেন, রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি যে জমিতে রয়েছে সেগুলি সরকারি না বেসরকারি, তার সমীক্ষা করা হয়েছে। জমির রেকর্ড, খতিয়ান হয়েছে কি না সেসবও দেখা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ স্টেট লাইব্রেরি সংস্কারের ব্যাপারে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়নি। বিধায়করাও দাবি তোলেননি। জেলাশাসককে বলব, একটা রিকোয়েস্ট লেটার পাঠাতে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে রাজ্যের ৮৫টি গ্রন্থাগারকে মডেল গ্রন্থাগার করে তিন লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। চার-পাঁচ বছর আগে দেওয়া হয়েছিল কম্পিউটার। তার ৯০ শতাংশই এখন আর কাজ করছে না। উমপুন ও করোনার সময় গ্রন্থাগারগুলিতে প্রায় ৫০ লক্ষ বই নষ্ট হয়েছে। সেগুলি বাছাই করা হচ্ছে। এখন সমস্ত গ্রন্থাগারেই বিশেষ নজর দিয়ে পাঠক বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে ডিজিটাইজেশনের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। দপ্তর এর আগে ৭৩৮টি পদ অনুমোদন করে নিয়োগ শুরু করেছিল। ৫৮০-৫৮৫টি পদে নিয়োগ হয়েছে। তাঁরা গ্রন্থাগারিকের কাজ করছেন। বাকি পদে প্রার্থী পাওয়া যায়নি। নিজস্ব চিত্র।