• হিলকার্ট রোডের জুয়েলারি দোকানে ডাকাতিতে বিহারে গ্রেপ্তার আরও ১
    বর্তমান | ২৬ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: হিলকার্ট রোডের জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় বিহার থেকে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল শিলিগুড়ি থানার পুলিস। ধৃতকে বিহারের আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে পুলিসের বিশেষ দল। যদিও তদন্তের স্বার্থে এখনই ধৃতের নাম প্রকাশ করতে চাননি শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের শীর্ষকর্তারা। ডাকাতির দিন পুলিসের তৎপরতায় দুই দুষ্কৃতী হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। এই দুষ্কৃতীকে ধরার পর ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল তিন। আরও বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করে জুয়েলারি দোকানে লুটের সঙ্গে জড়িত বেশকিছু দুষ্কৃতীকে ট্র্যাক করা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিস কর্তারা। তাদের ধরতেও অভিযান চালানো হচ্ছে। 

    শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, আমরা আরও এক ডাকাতকে বিহার থেকে গ্রেপ্তার করেছি। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে। আরও বেশকিছু জায়গায় অভিযান চলছে। আশা করি, বাকিদের শীঘ্রই জালে তুলতে পারব। 

    গত রবিবার শিলিগুড়ি শহরের হিলকার্ট রোডের ধারে একটি জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি হয়। প্রায় ১১ কোটি টাকার সোনা সহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দল। দুষ্কৃতীদের ধরতে সঙ্গে সঙ্গে ময়দানে ঝাঁপায় পুলিস। ওই দিনই দু’জনকে পাকড়াও করে। বাকিদের ধরতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের বিশেষ চারটি দল বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লিতে গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। এরপরই বিহারের টিম এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। 

    ঘটনার দিনই ধরা পড়া দুই দুষ্কৃতীকে তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কিছুতেই তারা সঙ্গীদের নাম, ঠিকানা বলতে চাইছে না। যদিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সহ অন্যান্য বেশকিছু তথ্য দেখে পুলিস জানতে পেরেছে, ডাকাতির ঘটনার সময় দুই মহিলা সহ মোট আট দুষ্কৃতী দোকানে ছিল। তবে, সেই সংখ্যাটিও স্বীকার করছে না ধৃতরা।

    ঘটনায় লুট করা সোনা সহ অন্যান্য ধাতু কোথায় রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল? শহরের কোনও দুষ্কৃতী তাদের সাহায্য করেছিল কি? এসব তথ্য জানতে চাইলে ধৃতরা বারবার তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। একাধিকবার তাদের দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা সত্ত্বেও বয়ান খুব একটা পরিবর্তন হয়নি বলে জানা গিয়েছে। 

    তদন্তকারী অফিসাদের একাংশের দাবি, ধরা পড়ে গেলে কীভাবে চুপ থাকতে হবে, ডাকাতির ছক কষার সময়ই দুষ্কৃতী দল সেসব পরিকল্পনা করেছিল। সেই কারণে মুখ খুলতে চাইছে না তারা। যদিও লুট হওয়া সোনা সহ বাকি ধাতু কোথায়, কীভাবে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেবিষয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।  প্রতীকী চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)