বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া যাচ্ছে না লিন্টেল পর্যন্ত কাজের নির্দেশ সাড়ে ৫ হাজার উপভোক্তাকে
বর্তমান | ২৬ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: ছ’মাস অতিক্রান্ত। টাকা পেয়েও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে লিন্টেল লেভেল পর্যন্ত কাজ করেননি মালদহের প্রায় সাড়ে পাঁচহাজার উপভোক্তা। যার ফলে প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এসে পৌঁছলেও উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা করতে পারছে না জেলা প্রশাসন। সমস্যা মেটাতে একমাসের মধ্যে লিন্টেল লেভেল পর্যন্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে মালদহ জেলায় প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন ২৯ হাজার ৭৬৮ জন উপভোক্তা। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে থেকে ২৪ হাজার ২৫৪ জন, অর্থাৎ মোট উপভোক্তার ৮১.৫৭ শতাংশ লিন্টেল লেভেল পর্যন্ত বাড়ির কাজ সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু বাকি ৫ হাজার ৪৭৪ জন উপভোক্তা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও খুবই ধীরগতিতে নির্মাণ করছেন। তাঁরা এখনও লিন্টেল লেভেল পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেননি। যার ফলে এই সমস্ত উপভোক্তাকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা প্রদান করতে পারছে না জেলা প্রশাসন।
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করলেও অত্যন্ত ধীরগতিতে চলা নির্মাণ কাজ সবথেকে বেশি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। শুধুমাত্র এই ব্লকেই ধীরগতিতে চলা নির্মাণের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬ টি, অর্থাৎ মোট সংখ্যার ২০ শতাংশ। এই ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২১৩ টি বাড়ি অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে লিন্টেল লেভেল পর্যন্ত কাজ না হওয়ায় বাড়ির সংখ্যা ৪৫২ টি। এখানকার মহানন্দাটোলা এবং দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে লিন্টেল লেভেল পর্যন্ত কাজ হয়নি এমন বাড়ির সংখ্যা ৮৬ ও ৪৮ টি। ইংলিশবাজার পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে এই ধরনের বাড়ির সংখ্যা ৪৬০ টি। ইংলিশবাজারের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯২ টি এবং মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬৮টি বাড়ি আছে। হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ৪৪০ টি অসম্পূর্ণ বাড়ি আছে।
কালিয়াচক-৩ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে অর্ধসমাপ্ত ৪৩৮ টি। প্রত্যেককে এক মাসের মধ্যে লিন্টেল পর্যন্ত বাড়ির কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সরকার থেকে বাড়ি নির্মাণের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ব্লক প্রশাসন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করিয়ে সেই টাকা উপভোক্তাদের দিতে চায় প্রশাসন।