কাটোয়া হাসপাতাল চত্বরে রাস্তা বেহাল হিমশিম খাচ্ছেন রোগী ও পরিজনরা
বর্তমান | ২৬ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে রাস্তার অত্যন্ত বেহাল দশা। আউটডোরের সামনে গর্ত হয়ে গিয়েছে। সিটি স্ক্যান করাতে স্ট্রেচারে রোগীদের নিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন বাড়ির লোকজন। বৃষ্টিতে সেখানে জল জমে কার্যত নরককুণ্ড হয়ে গিয়েছে। রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে। হাসপাতাল সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, রাস্তাগুলি বেহাল হয়ে পড়েছে। আমরা পূর্তদপ্তরকে জানিয়েছিলাম। তারা রাস্তা সংস্কারের জন্য আমাদের ১০লক্ষ টাকার ডিপিআর দিয়েছে।
মহকুমা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবন থেকে সিটি স্ক্যান বিভাগ যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত বেহাল। ওই রাস্তায় গতবছর পাইপলাইনের কাজ হয়েছিল। তারজন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু আর ওই রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। বেহাল রাস্তা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীদের সিটি স্ক্যান করাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন পরিজনরা। হাসপাতালে আসা সুস্মিতা ধীবর বলেন, বাবা কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। স্ট্রেচারে করে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তার যা হাল তাতে বাবা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে এসে যদি রাস্তার এমন হাল থাকে আমরা কোথায় যাব? সালারের বাসিন্দা মহিবুল্লা শেখ বলেন, হাসপাতাল চত্বরের রাস্তা বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা হোক।
আউটডোরের সামনের রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। রাস্তার পিচ উঠে গর্ত তৈরি হয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তা ধরে গেলে আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানেও রোগীদের নাকাল হতে হচ্ছে। রোগীর পরিজন নিমাই সাহা বলেন, হাসপাতালে স্ট্রেচারে রোগীদের নিয়ে যেতে হয়। স্যালাইনের চ্যানেল খুলে যায়। শুধু রোগী নয় হাসপাতাল কর্মীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের উপর পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার বহু বাসিন্দা নির্ভরশীল। মহকুমা হাসপাতালে এই মুহূর্তে প্রসূতি, পুরুষ, মহিলা, শিশু সহ মোট ২৮৬টি বেডের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের ভিতরে জায়গা কম থাকায় ২৫৬টি বেড রয়েছে। এবার অতিরিক্ত ১০০টি বেডের ভবন গড়ে উঠেছে। অথচ রাস্তার বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর পরিজনরা। তাঁরা বলেন, হাসপাতালে উন্নতমানের পরিষেবা পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা না সারানোয় খুব অসুবিধা হচ্ছে।