সংবাদদাতা, বজবজ: মহেশতলা পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে জল বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য পীযূষ দাসের ক্লাব। মঙ্গলবার রাতে বহিরাগতরা সেই ক্লাবে ঢুকে হামলা চালানোয় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ঘটনার সময় পীযূষবাবু ওই ক্লাবেই ছিলেন। অভিযোগ, বহিরাগতরা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের অনুগতদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেছে। লাঞ্ছিত হয়েছেন পীযূষবাবুও। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মহেশতলা থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি এবং তাঁর অনুগতরা।
যদিও পরে পাল্টা অভিযোগ হয়েছে পীযূষবাবু ও তাঁর অনুগতদের বিরুদ্ধেও। সেখানে বলা হয়েছে, পীযূষবাবুর নেতৃত্বে তাঁর অনুগতরাই প্রথমে হামলা করেছেন। সেই রাগ মেটাতে উল্টে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিস উভয়পক্ষের অভিযোগ নিয়েছে। তবে পীযূষবাবু প্রথমে অভিযোগ করার জন্য বহিরাগতদের আটজনকে বুধবার আটক করেছে পুলিস। ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার কর্তাদের কথায়, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আগে অভিযোগ করার কারণে হামলাকারীদের আটজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে তদন্ত করে পীযূষবাবুর অনুগতদের বিরুদ্ধে বিষয়টি সত্য প্রমাণ হলে ওঁদেরও আটক করা হবে।
এদিকে, পীযূষবাবুর দাবি, মহেশতলার মল্লিকপুরের বাসিন্দা ওই সব হামলাকারীরা। মঙ্গলবার সেখানে ওদের সঙ্গে অন্য কোনও এলাকার ছেলেদের সংঘর্ষ হয়। তাতে ওঁরা মার খায়। ওঁদের সন্দেহ, আমার ক্লাবের সদস্যরা ওই গোলমালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি, আমাদের ক্লাবের সদস্যরা কেউ ছিলেন না। স্রেফ ভুল করে এখানে এসে ওঁরা হামলা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর গায়ে কেউ হাত দেননি। এতটা সাহস কারও হয়নি। তিনি এও বলেন, এখানে খেলাধুলো ও সুস্থ সংস্কৃতির একটি পরিবেশ তৈরির চেষ্টা তিনি করে আসছেন। তা নষ্ট করার জন্য কেউ কেউ সক্রিয় হয়েছে।