• আবার মহাকাশে ভারতীয়! ‘আমরা কীভাবে যাব?’ জানতে চায় পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ২৬ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চার দশক পেরিয়ে গিয়েছে মাঝখানে। আবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মহাকাশের পথে ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। সেই সোনালি সময়কে চোখের সামনে দেখতে শহরের পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষের উত্সাহর শেষ নেই। অনেকে বলছেন, বর্তমান প্রজন্ম রাকেশ শর্মাকে শুধুই পুরনো ভিডিওতে দেখেছেন। কিন্তু এবার একেবারে চাক্ষুষ করার সুযোগ এল। মহাকাশ উত্সাহীরা মনে করছেন, এর ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকখানি মনোবল বাড়ে। আবার অনেক পড়ুয়ার প্রশ্ন, আমরা কীভাবে যাব? দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠে শুভাংশুদের মহাকাশে যাওয়ার মুহূর্ত বড় পর্দায় পড়ুয়াদের দেখানো হয়েছে। সেখানে পড়ুয়াদের উত্সাহ ছিল চোখে পড়ার মতোই। স্কাই ওয়াচার্স অ্যাসোসিশনের দীপঙ্কর দে বলছিলেন, ‘আমরা তো চন্দ্রযান নিয়ে ব্যাপক উত্সাহ লক্ষ করেছি। এদিন চারপাশে শুনছি, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা নিয়ে সাধারণ মানুষ, পড়ুয়াদের মধ্যে খুবই উত্সাহ রয়েছে। আসলে আমাদের প্রজন্ম শুধুই রাকেশ শর্মার পুরনো ভিডিও দেখেছে। কিন্তু এবার লাইভ দেখল। তার ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে মনোবল বাড়বে। সকলে ভাবতে শুরু করবে, চেষ্টা করলে আমরাও পারব।’ 

    শুভাংশু স্পেস স্টেশনে যাচ্ছেন। কিন্তু এর ফলে ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য লাভ কী হবে? শুধুই কি গর্ব? ৪১ বছর বাদে আরও এক ভারতীয় মহাকাশে যাচ্ছেন, এইটুকু নিয়েই কি মেতে থাকবেন ভারতবাসী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘একেবারেই নয়। এর ফল সুদূরপ্রসারী।’ 

    বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামের (বিআইটিএম) কিউরেটর রাকেশ মজুমদার বলছিলেন, ‘এই যাত্রা থেকে আমাদের দুটো বিষয় পাওয়ার আছে। মনে রাখতে হবে, এর পর গগনযানের মিশন রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুভাংশু শুক্লা কিন্তু ট্রেইনড হয়ে গেলেন। এবার ইসরো কিন্তু বাইরের দেশের লোককেও মহাকাশে পাঠাতে পারবে। সেখানে কিন্তু বাণিজ্যিক লাভও রয়েছে। এছাড়া আরও একটা বিষয়, ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাতটি প্রোপোজাল নেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে গবেষণাতেও সাহায্য করবে এই যাত্রা।’

    স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেও উত্সাহর শেষ নেই। রাকেশবাবু বলছিলেন, ‘পড়ুয়ারা জিজ্ঞেস করছে, আমরা কি যেতে পারি না? মহাকাশে যেতে গেলে আমাদের কী করতে হবে? আমরা বোঝাচ্ছি, যিনি গেলেন তিনি কিন্তু বিজ্ঞানী নন। বায়ুসেনার আধিকারিক। কিন্তু তার সঙ্গে কারগরি জ্ঞানও দরকার। অর্থাত্ তিনটি বিষয় দরকার, গবেষণাধর্মী পড়াশোনা, শারীরিক ক্ষমতা ও কারিগরি বিদ্যাও দরকার।’ 

    কিন্তু এখানেও থেমে থাকে না। মহাকাশে না যেতে পারলেও এই মিশনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার জন্যও ইঞ্জিনিয়ার, চিকিত্সক দরকার হয়। পড়ুয়াদের প্রতি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি ওয়াকিবহাল থাকতে হবে সামগ্রিক বিষয় নিয়েই।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)