• ফের নিম্নচাপ সমুদ্রে, বাড়ছে বৃষ্টির আশাও
    এই সময় | ২৬ জুন ২০২৫
  • এই সময়: রথের আবহে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর হাওয়া অফিস। বুধবার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ওডিশা ও বাংলার উপকূলের উপরে বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার উপরে তৈরি এই ঘূর্ণাবর্ত আজ, বৃহস্পতিবার শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। তার প্রভাবেই আজ থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আজ ও কাল, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) পূর্বাভাস রয়েছে।

    ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাসও রয়েছে। শনি থেকে মঙ্গল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    অন্য দিকে উত্তরবঙ্গেও শুক্রবার অর্থাৎ রথের দিন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে শনিবার জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্ত ভাবে অতিভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেমি পর্যন্ত) এবং দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    প্রবল গরমে আক্ষরিক অর্থেই ‘সেঁকে যাওয়ার’ মতো অবস্থা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬.৬ ডিগ্রি উঠে যাওয়ার পর সাম্বা এলাকার বাসিন্দাদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়েছিল। জম্মুর তাপমাত্রাও উঠে গিয়েছিল ৪৪.৩ ডিগ্রিতে।

    গরমের জন্য কুখ্যাত বাংলার পুরুলিয়া, কলাইকুণ্ডা বা পানাগড়ের তাপমাত্রাও কালেভদ্রে এই উচ্চতায় ওঠে। শেষ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরকে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি দিল দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বাতাস।

    আপাতত রাজস্থানের কিছুটা অংশ বাদ দিলে গোটা দেশেই বর্ষা নেমে গিয়েছে। জলীয় বাষ্পে ভরা মৌসুমি বাতাসের প্রভাবে স্বস্তি ফিরেছে দেশের সবচেয়ে উত্তরের রাজ্যে।

    কাশ্মীর বলতেই কল্পনায় ভেসে ওঠে বরফে ঢাকা পাহাড়ের ঢাল। কিন্তু বাস্তব আদৌ তেমন নয়। গরমকালে জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থাও যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, ২০২৫–এর জুন সেটা ভালো ভাবেই টের পাইয়ে দিয়েছে।

    মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, এই রাজ্যে দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের আগে অন্তত পাঁচটি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর পার করেছিল। শ্রীনগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। লেহ (২৬.৯) এবং কার্গিল (২৭.৯) অবশ্য সেই তুলনায় অনেকটা শীতল ছিল।

  • Link to this news (এই সময়)