• প্রয়োজনে নেওয়া হবে কম জমি, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ‘বিকল্প’ ভাবনার কথা মানসের মুখে
    এই সময় | ২৬ জুন ২০২৫
  • ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তাবায়িত করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি জট। এই প্রকল্প করার জন্য অনেকেই নিজেদের জমি-বাড়ির জায়গা দিতে নারাজ। সেই কারণেই জমি নিয়ে জট কাটাতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের রুট বদল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পরেই মাস্টার প্ল্যানের জন্য, জমি নিয়ে বিকল্প ভাবনার বিষয়ে, ঘাটালে এসে বৈঠক করলেন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিলেন, দরকার হলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ডিজাইন সংশোধন করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনে কম জমি নেওয়া হবে বলেও বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী।

    মঙ্গলবারই বিধানসভায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য জমি-সমস্যার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন, এই প্রকল্পের জন্য কারোর বসতি যাতে নষ্ট না হয় তা দেখতে হবে। প্রয়োজন হলে রুট ঘুরিয়ে দিতে হবে।

    তার পরেই বুধবার বিকালে ঘাটালে এসে এই প্রকল্প নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মানস ভূঁইয়া।

    রাজ্যের সেচমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্প তাঁরা দ্রুত বাস্তবায়িত করতে চাইছেন। এর জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তাতে কিছু সংশোধন এবং পরিবর্তন করার হবে বলেও জানান মানস ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘাটালে নদীর বাঁধটা যতটা চওড়া করব ভেবেছিলাম তার থেকে যদি একটু কম করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তা হলে দোকান, বাড়ি একটু কম সংখ্যায় নিতে হবে। ঠিক একইভাবে চন্দ্রেশ্বর খাল খননের ক্ষেত্রেও যতটা কম সম্ভব জমি যাতে নেওয়া যায় তাও দেখা হবে। সেই বিষয়ে মাস্টার প্ল্যানের কিছু মডিফিকেশন দরকার হলে আমরা করব। যাতে কম মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন সেই দিকে নজর দিয়েই পুরো কাজ করা হবে।’

    রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচমন্ত্রী জানান, তাঁরা কারোর ক্ষতি চাইছেন না। এই কারণে ঘাটাল, দাসপুর, কেশপুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকাকে বন্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। তাঁরা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)