• যাতায়াতে কম সময়, খুশি যাত্রী
    আনন্দবাজার | ২৬ জুন ২০২৫
  • বুধবার থেকে একাধিক ট্রেন পুরোপুরি বৈদ্যুতিক লাইনে চালাতে শুরু করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। তার মধ্যে গুয়াহাটি–হাওড়া সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কলকাতা–শিলঘাট কাজিরাঙ্গা এক্সপ্রেস ছাড়াও আরও কিছু ট্রেন রয়েছে। আরও সাত জোড়া ট্রেন লামডিং থেকে সরাসরি বৈদ্যুতিক লাইনে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। কিছু দিনের মধ্যেই এই ট্রেনগুলির যাতায়াতের সময়সীমাও কমিয়ে আনা হতে পারে। এর জেরে যাতায়াতে সময় কমবে বলে খুশি যাত্রীরা। উত্তরের ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য, আরও গতিশীল ট্রেন উত্তরবঙ্গ থেকে চালানো গেলে ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হবে।

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৮০ শতাংশ বিদ্যুদয়নের কাজ হয়েছে বলে জানান রেলের আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি, যেমন যেমন বিদ্যুদয়নের কাজ হচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ট্রেন পুরোপুরি বৈদ্যুতিক লাইনে চালানোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবে কয়েকটি ট্রেন এখনও বৈদ্যুতিক লাইনে চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

    রেল সূত্রে খবর, কিছু দিন আগেই একগুচ্ছ ট্রেনের সময়সূচি ১০-১৫ মিনিট এগিয়ে আনা হয়েছে। এই ট্রেনগুলি কিছু দিন বৈদ্যুতিক লাইনে চলার পরে যাতায়াতের সময়ও কমিয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    পুরো উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকাই বৈদ্যুতিক লাইনে জুড়ে গিয়েছে। শুধু মাথাভাঙার কিছু অংশ বাকি। সেই কাজও দ্রুত এগোচ্ছে বলে জানান রেলের আধিকারিকেরা। রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ-শিলচর এবং শিয়ালদহ–সাব্রুম কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, শিলচর এক্সপ্রেস, শিলচর-তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেস, দেওঘর-আগরতলা এক্সপ্রেস লামডিং থেকে বৈদ্যুতিক লাইনের সঙ্গে জোড়া হচ্ছে।

    ব্যবসায়ী মহলের দাবি, আরও গতিশীল ট্রেন উত্তরবঙ্গ থেকে চালানো গেলে ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হবে। জলপাইগুড়ি জেলা চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক অভ্র বসু বলেন, ‘‘আরও কিছু ট্রেন বৈদ্যুতিক লাইনে জুড়ছে ভালো কথা। কিন্তু ট্রেনের সময়সূচি কমিয়ে আনতে হবে। যাতে ব্যবসার কাজে দ্রুততার সঙ্গে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায়।’’

    স্বাধীনতার পরে এই প্রথম জলপাইগুড়ি রোড থেকে হামসফর এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। কিন্তু তাতে ১২ ঘণ্টা সময় লাগাবে যাতায়াতে। তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এ সব রেলের অনেক আগেই করে ফেলা উচিত ছিল।

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রের দাবি, বিদ্যুদয়নের সঙ্গে সঙ্গে সিগন্যাল ব্যবস্থা এবং লাইনের গুণমান বাড়ানো হচ্ছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, ‘‘সব কাজ একসঙ্গে চলছে। আশা করছি, দ্রুত উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পুরো এলাকায় বিদ্যুদয়নের কাজ করে ফেলা যাবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)