• হেরিটেজ হোক মহিষাদলের রথ, দাবি
    আনন্দবাজার | ২৬ জুন ২০২৫
  • দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরের রথ নিয়ে এ বার জেলায় উদ্দীপনা তুঙ্গে। এসেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ওই রথের সাড়ম্বরে কি জেলার অন্যতম প্রাচীন মহিষাদল রাজবাড়ির রথের জৌলুস ফিকে পড়ছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়। কারণ, দেখে গিয়েছে, এ বছর এই রথের উদ্বোধক হিসাবে আলাদা করে বিশিষ্ট কাউকে নেমন্তন্ন করা হচ্ছে না।

    মহিষাদল রাজবাড়ির রথ আড়াইশো বছরের প্রাচীন। আড়াইশো বছরের প্রাচীন এই রথ সংস্কার, পুনরায় নির্মাণ করতে বহু টাকা ব্যয় হয়। বিভিন্ন সময়ে শিল্প সংস্থাগুলি আর্থিক সাহায্য করেন। বর্তমানে এই রথ পরিচালনা করে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি। মঙ্গলবার বিধানসভায় উঠেছিল মহিষাদল রাজবাড়ির রথের কথা। বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী দাবি জানিয়েছিলেন এই রথকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হোক। দাবি, রথটি হেরিটেজ তকমা পেলে টিকে থাকবে এর ঐতিহ্য।

    এ বার দিঘায় যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে থাকছেন জগন্নাথ দেবের রথের উদ্বোধনে, তখন মহিষাদলে রথের উদ্বোধন করবেন কে? স্থানীয় বিধাযক তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উদ্বোধক হিসেবে আলাদা করে কাউকে নেমন্তন্ন করা হচ্ছে না।’’ তবে বিধায়ক নিজে মহিষাদলের রথের মেলাতেই থাকবেন। এই রথের সঙ্গে যেহেতু রাজবাড়ির সদস্যদের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তাই তাঁরাও আসেন এই রথের মেলায়। রাজ বাড়ির সদস্য শৌর্যপ্রসাদ গর্গ বলেন, ‘‘এই রথে আমাদের ইতিহাস জড়িত। আমরা অবশ্যই থাকব। তবে এ বার নতুন করে ভাবনা কিছু নেই।’’ মহিষাদলের রথের ধারা বিবরণী দেন সংকর্ষণ মাইতি। সংকর্ষণ বলছেন, ‘‘এই মেলার অতীত ঐতিহ্য, গরিমা টেনে আনে বহু মানুষকে।’’

    রথ এবং রাজবাড়ির মেলবন্ধনে এক দূরন্ত আকর্ষণ তৈরি হয় সাধারণ মানুষের কাছে। রথের মেলায় নদিয়া, মুর্শিদাবাদ থেকে আসে কুইন্ট্যাল কুইন্ট্যাল কাঁঠাল। মহিষাদলের মানুষ দ্বিধাবিভক্ত নন এই রথের মেলা নিয়ে। তাঁরা ভিড় করবেন মহিষাদলেই।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)