• জৈব শৌচাগার বসছে গুপ্তিপাড়ায়, দাবি মাহেশেও
    আনন্দবাজার | ২৬ জুন ২০২৫
  • প্রতি বছরই হুগলি জেলার মাহেশ ও গুপ্তিপাড়া— দু’জায়গার রথযাত্রায় বহু মানুষের সমাগম হয়। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য গুপ্তিপাড়ায় চারটি জৈব শৌচাগার বসানো হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। একই দাবি উঠেছে মাহেশেও। দু’জায়গাতেই মেলা বসছে।

    মাহেশে জৈব শৌচাগারের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন অল বেঙ্গল সিটিজেনস ফোরাম। ফোরামের সভাপতি শৈলেন পর্বত বলেন, ‘‘স্থানীয় পুরসভার মাধ্যমে অন্তত ১৫টি জৈব শৌচাগার মাহেশে বসানো উচিত।’’ পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা বলেন, ‘‘আমাদের জৈব শৌচাগার নেই। কী করা যায় দেখব।’’

    কাল, শুক্রবার রথযাত্রা। তার আগে বুধবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারক করলেন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এ দিন গুপ্তিপাড়ায় যান হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (ক্রাইম) অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র-সহ অন্য পুলিশ আধিকারিক, বৃন্দাবনচন্দ্র জিউ মঠ ও এস্টেটের প্রশাসক গোবিন্দানন্দ পুরী, গুপ্তিপাড়া ২ পঞ্চায়েতের প্রধান মানিক ঘরামী, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আধিকারিক প্রমুখ। পুলিশকর্তাদের দাবি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত থাকছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রথযাত্রা এবং মেলা যাতে নির্বিঘ্নে চলে, সেই চেষ্টা করা হবে।

    গুপ্তিপাড়া ২ পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চারটি জৈব শৌচাগার ছাড়াও দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সও থাকছে। গুপ্তিপাড়া-শান্তিপুরে ফেরি পরিষেবা চালু থাকে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। সোজারথ, ভান্ডার লুট এবং উল্টোরথের দিন লঞ্চ চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত।

    মাহেশেও এ দিন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা ফের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। পান্ডুয়া ব্লকের বিভিন্ন রথযাত্রা কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুরে বৈঠক করে পুলিশ-প্রশাসন। থানায় বৈঠক হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, জোরে মাইক-বক্স বাজানো যাবে না। কোন রাস্তা দিয়ে রথ যাবে, আগাম প্রশাসনকে জানাতে হবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)