• ‘যোগ্য’ শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে ফেরানোর দাবিতে মিছিল সল্টলেকে
    আনন্দবাজার | ২৬ জুন ২০২৫
  • এ বার যোগ্য-অযোগ্য ভাগ করার দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে এসএসসি ভবন পর্যন্ত মিছিল করল ‘যোগ্য গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি অধিকার মঞ্চ’। তাদের বক্তব্য, শুধু শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রেও যোগ্য-অযোগ্য ভাগ করে দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে অযোগ্যদের যে তালিকা দিয়েছিল, তাতে ১২৫৫ জন গ্রুপ-সি এবং ২১৩৯ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর নাম নেই। সুতরাং, ধরে নিতে হবে তাঁরা যোগ্য। তা হলে এই যোগ্যদের স্কুলে ফেরানো হবে না কেন? এক চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী অমিত মণ্ডল বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের তালিকা অনুযায়ী, যোগ্যদের তালিকার সার্টিফায়েড কপি অবিলম্বে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে ২২ লক্ষ ওএমআর শিটও প্রকাশ করতে হবে।’’

    এ দিন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা রাত ৯টা পর্যন্ত এসএসসি ভবনের সামনে বসে ছিলেন। তাঁরা জানান, এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার তাঁদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি। তাই সোমবার ফের তাঁরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবেন।

    এ দিন মিছিলে থাকা এক শিক্ষাকর্মী বললেন, ‘‘আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম যে, ভাতা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের উপরে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দেবে। কারণ, শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যোগ্য এবং অযোগ্য ভাগাভাগি করেনি শিক্ষা দফতর।’’ আর এক শিক্ষাকর্মীর মতে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হয়তো ভবিষ্যতে বলবেন, সরকার চেষ্টা করেছিল শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দিতে। কিন্তু প্রশ্ন হল, মুখ্যমন্ত্রী কি সত্যিই চেষ্টা করেছিলেন?’’

    চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যোগ্য শিক্ষকদের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে পাঠাতে বলা হয়েছে, কারণ, তাঁরা সরাসরি পাঠদানের সঙ্গে যুক্ত। এক শিক্ষাকর্মীর মতে, ‘‘আমরা স্কুলে সরাসরি পাঠদানে যুক্ত না থাকলেও স্কুলের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। স্কুলে কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে নানা সরকারি প্রকল্পের কাজ আমাদেরই করতে হয়।’’ শিক্ষাকর্মীদের দাবি, সিবিআইয়ের তালিকা অনুযায়ী, যোগ্যদের তালিকার সার্টিফায়েড কপি রিভিউ পিটিশনে দিতে হবে।

    এ দিন বেলা সাড়ে ১২টার সময়ে মিছিল শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মিছিল এগোতে থাকে। এসএসসি ভবনের সামনে অনেকেই থালা হাতে বসে পড়েন। তাঁরা জানান, তাঁদের অবস্থাই সব থেকে খারাপ। চার মাস ধরে বেতন নেই। ভাতার উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। চাকরিহারা অনেকেই অবসাদগ্রস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)