ভাড়া বাড়ি থেকে মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন যুবক। তার পরে পার্ক সার্কাসে কাজে চলে যান। রাতে বাইক নিয়ে ফেরার পথে লরির চাকায় পিষ্ট হন তিনি। সে দিন যাদবপুর থানার বাঘা যতীন এলাকায় দুর্ঘটনায় মৃতের ছিন্নভিন্ন চেহারা দেখে প্রথমে তাঁকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। শেষে বাইকের নম্বরের সাহায্যে তাঁর পরিচয় জানতে পারে যাদবপুর থানা।
বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুরজ প্রধান (৩৫)। তিনি বালিগঞ্জ থানা এলাকার বেলতলা রোডে থাকতেন। তবে, ইদানীং সুভাষগ্রামে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকছিলেন। পার্ক সার্কাসের একটি ক্যাফেতে কাজ করতেন সুরজ। কাজের শেষে বাইক নিয়ে সুভাষগ্রামে ফেরার পথে মঙ্গলবার রাতে ঘটে ওই দুর্ঘটনা। বুধবার তাঁর বেলতলা রোডের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, কলোনির ছোট্ট ঘরে প্রতিবেশী ও পরিজনদের ভিড়। সুরজের মাসি ডলি পার্সি বললেন, ‘‘গোটা পরিবার ওর আয়েই চলত। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, স্ত্রী— ওদের এ বার কী হবে, জানি না।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, আগে বেলতলা রোডে মায়ের সঙ্গে থাকলেও বছর দুয়েক হল সপরিবার সুভাষগ্রামে থাকছিলেন সুরজ। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে থানার তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পরে বুধবার ভোরে থানায় গিয়ে সুরজের দেহ শনাক্ত করে পরিবার।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজা এস সি মল্লিক রোড ধরে যাওয়ার পথে বাঘা যতীন মোড়ের কাছে ঘটে ওই দুর্ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, লরির বাঁ দিক দিয়ে দ্রুত গতিতে বাইক নিয়ে যেতে গিয়ে একটি রিকশার পিছনে ধাক্কা মেরে পড়ে যান সুরজ। লরিচালক সামনের চাকা ঘোরাতে পারলেও পিছনের চাকা সুরজের বুক ও মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। রাতেই লরিচালক সুরাফুদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।