আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রথমবার, দিঘায় মহাধুমধামে পালিত হতে চলেছে রথযাত্রা। স্বাভাবিকাভবেই জমায়েত হবে বহু মানুষের। রথযাত্রাকে সামনে রেখে দিঘা পর্যটন এলাকায় বাড়ছে পর্যটকের ঢল। জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনের পর থেকেই দিঘা এমনিতেই নয়া আঙ্গিকে পর্যটনের এক নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
হোটেল মালিকদের মতে, বর্তমানে প্রায় ছোট-বড় ৯০০-র বেশি হোটেল রয়েছে দিঘায়। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রথের সময় বেশ কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী হোটেল ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নন এসি ৭০০ থেকে হাজার টাকার পরিবর্তে ১৫০০ থেকে ২০০০ বৃদ্ধি করেছিল। এসির ক্ষেত্রে দু' হাজার থেকে আড়াই হাজারের এসি ঘর সাড়ে তিন থেকে চার হাজার করা হয়েছিল। রাতারাতি হোটেল অ্যাসোসিয়েশন ও প্রশাসনের পদক্ষেপে তা সংশোধন হয়েছে। এমনটাই দাবি পর্যটকদের।
রথযাত্রার সময় দীঘায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অনেক পর্যটক ইতিমধ্যেই দিঘায় পৌঁছে গেছেন এবং অধিকাংশ হোটেলের বুকিং প্রায় শেষের মুখে। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে দীঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ কড়া সিদ্ধান্ত।
একটি বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যদি কোনও হোটেল ভাড়ার অনিয়ম বা অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার ঘটনা প্রমাণিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এমনকি লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
পর্যটকদের স্বার্থে নেওয়া হয়েছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ-
প্রতিটি হোটেলের রিসেপশনে স্পষ্টভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা (ট্যারিফ)