সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১-এ রাজ্যে ৭৭-এ আটকে গিয়েছিল বিজেপি। এবার ভোটের ৬ মাস আগেই আত্মবিশ্বাসী অভিষেকের দাবি, ৫০-এ আটকে যাবে বিজেপি। তাঁর কথায়, “২০২১-এ বিজেপির চাকা ৭৭-এ আটকে গিয়েছিল। এবার ২০২৬-এ ৫০-এর নিচে আটকে যাবে। কথা দিয়ে গেলাম।” তাঁর স্লোগান, এবার বিজেপিকে “বিদায় জানানোর পালা।”
১১ বছরে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সেখানকার মানুষের জন্য কী কাজ করেছেন বুধবার সাতগাছিয়ায় জনসমক্ষে তার খতিয়ান রেখে দেন। প্রত্যেকবার ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ নামে নিজের কাজের খতিয়ান সামনে রেখে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন অভিষেক। তাঁর সঙ্গে এদিন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। বরাবর ‘বক্সিদা’ অভিষেকের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে যান। এদিন প্রায় ৭০০ পাতার পুস্তিকা প্রকাশ করে অভিষেক জানিয়ে দেন গত এক দশকে ৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ হয়েছে এই কেন্দ্রে। এরই পালটা আর জি কর থেকে এসএসসি-র চাকরিহারা, পহেলগাঁওয়ের মতো একের পর এক ইস্যু তুলে বিজেপিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে পরপর তোপ দাগেন অভিষেক।
আর জি কর ইস্যুতে বাম-বিজেপি প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ দাবি করেছিল। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছিল। তবে পহেলগাঁওতে সন্ত্রাস ঠেকাতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং আইবি চিফ তপন ডেকার ইস্তফা তারা কেন চাইবে না, প্রশ্ন অভিষেকের। তাঁর সাফ কথা, “নিজেদের হিন্দুত্বের রক্ষাকারী বলে দাবি করে বিজেপি। অথচ জগন্নাথ মন্দির নিয়ে ব্যঙ্গ করে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এটা মন্দির না। সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা সার্কাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ এই জগন্নাথ মন্দির না হলে এঁদের স্বরূপ বেরত না।” এরপরই অভিষেক, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভবিষ্যদ্বাণী করে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের ফলের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, “আমি ভবিষ্যদ্বাণী করি না। তবে করলে ঈশ্বরের কৃপায় অল্প হলেও মেলে। সবমিলিয়ে এই জনসভা থেকে ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন অভিষেক।