• কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয় রাজ্য সরকার, সুপারিশ পে কমিশনের রিপোর্টেই
    প্রতিদিন | ২৬ জুন ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: সর্বভারতীয় মূল্যসূচকের নিরিখে বা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয় রাজ্য সরকার। রাজ্য তার আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী ডিএ স্থির করবে। আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই সুপারিশের তথ্য।

    রিপোর্টের ১৩১ নম্বর পাতার ১২.৪ পয়েন্টে বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া প্রাইস ইনডেক্স বা এআইসিপিআই মেনে কর্মচারীদের ডিএ’র হার নির্ধারণের বাধ্যবাধকতাও নেই রাজ্য সরকারের। রাজ্য তার আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী ডিএ দিতে পারবে। ২৭ তারিখের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সে বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি এদিন পর্যন্ত জারি হয়নি। আজ সেই বিজ্ঞপ্তি জারির শেষ দিন।

    উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে হাই কোর্ট ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট রাজ্যকে ১জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সেই নির্দেশ মেনেই এই রিপোর্ট সামনে আনল নবান্ন। মোট ১৯৭ পাতার এই রিপোর্টের একটি অংশে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ’র প্রসঙ্গটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানেই ১৩১ নম্বর পাতার ১২.৪ পয়েন্টে বলো হয়েছে ‘আলোচ্য বিষয়গুলি বিবেচনা করে কমিশনের সুপারিশ, রাজ্যের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কতটা পরিমাণ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করতে পারে।’ আরও বলা হয়েছে, এআইসিপিআই মেনে রাজ্যকে যে ডিএ দিতেই হবে, এমনটা নয়। যার অর্থ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার রীতি রাজ্যকে অনুসরণ করতে বাধ্য করা যাবে না।

    যার অর্থ, ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান আগে যা ছিল, ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় তা-ই প্রতিষ্ঠিত হল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার যে আর্থিক ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছিল, পে কমিশনের রিপোর্টে সেই চাপ অনেকটাই কমতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)