• আরজি করের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আবেদন নির্যাতিতার পরিবারের, শিয়ালদহ কোর্টে গেল মামলা
    এই সময় | ২৬ জুন ২০২৫
  • ঘটনাস্থল বা প্লেস অফ অকারেন্স একবার দেখার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা ও মা। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। আরজি করে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য অনুমতি পেতে আবেদনকারীকে শিয়ালদহ এসিজেএম আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয় হাইকোর্ট।

    ‘প্লেস অফ অকারেন্স’-এর আশেপাশের এলাকা দেখার জন্য নির্যাতিতার আইনজীবীর সঙ্গে কতজন জুনিয়রের থাকার প্রয়োজন, তাও নিম্ন আদালতই ঠিক করবে, জানানো হয় এ দিন। আবেদন পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালত এই মামলা বিবেচনা করে দেখবে এবং রাজ্য যদি এই মামলায় যুক্ত হতে চায়, সেক্ষেত্রে তাও বিবেচনা করবে শিয়ালদহ এসিজেএম আদালত, জানিয়েছে হাইকোর্ট।

    এ দিন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বলেন, ‘সেমিনার রুমের ভিতরে নয়, তার বাইরে ও আশপাশের জায়গা একবার দেখতে চাওয়ার জন্য এই আবেদন করা হয়েছে। সাধারণ ক্ষেত্রে হয়তো ঘটনাস্থল যেতে অনুমতির দরকার হয় না। কিন্তু যেহেতু আরজি করের মত স্পর্শকাতর ঘটনা, তাই অনুমতির জন্য আবেদন। সেখানে সিআরপিএফ নিরাপত্তাও রয়েছে।’

    যদিও রাজ্যের তরফে এ দিন আদালতে বলা হয়, ‘নতুন করে তদন্ত হবে কি না, আগে সেই সিদ্ধান্ত নিক আদালত।’ পাশাপাশি এই আবেদন মিডিয়ার নজরকাড়ার চেষ্টা বলেও আদালতে মন্তব্য রাজ্যের আইনজীবীর। সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘নির্যাতিতার আইনজীবী যদি প্লেস অফ অকারেন্স বা ঘটনাস্থলে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।’

    হাইকোর্ট জানায়, শিয়ালদহ কোর্টের এসিজেএম এই আবেদন বিবেচনা করে দেখবে। কারণ বিচারের সর্বশেষ পরিস্থিতি তারা ভালো জানে। তদন্তকারী সংস্থাকে লিখিত ভাবে তাদের অবস্থানের বিষয়টি জানাতে হবে। মূল মামলায় নতুন করে সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে হবে নিম্ন আদালতে। পরিবারের মূল মামলায় সব পক্ষ হলফনামা দেবে, নির্দেশ আদালতের। আগামী ১৮ অগস্ট মূল আবেদনের সম্ভাব্য শুনানি হাইকোর্টে।

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তৎকালীন সময়ে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন(আমৃত্যু) কারাবাসের সাজা দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।

  • Link to this news (এই সময়)