অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করল নবান্ন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, এআইসিপিআই মেনে কেন্দ্রের হরে ডিএ দিতে হবে, এমনটা মনে করছে না ষষ্ঠ পে কমিশন। পে কমিশনের সুপারিশ করা রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজ্য কেন কেন্দ্রের হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয়, তা ১৯৭ পাতার এই রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানেই ১৩১ নম্বর পাতার ১২.৪ পয়েন্টে বলা হয়েছে আলোচ্য বিষয়গুলি বিবেচনা করে সরকার সময়ে সময়ে রাজ্যের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে পারে, সুপারিশ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হতে পারে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের কী পরিমাণে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। সেখানেই বলা হয়েছে, এআইসিপিআই মেনে রাজ্যকে যে ডিএ দিতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। অতএব, ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান আগে যা ছিল, সেটাই প্রকাশ পেল ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ করা রিপোর্টে।
তবে রাজ্য সরকারের প্রকাশ করা এই রিপোর্ট দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। কারণ সুপ্রিম কোর্ট ২৭ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও এখনও সেই নির্দেশ পালন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি নবান্ন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক ডিএ-নির্দেশের সঙ্গে ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ করা রিপোর্টের কোনও সম্পর্কই নেই।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই হাইকোর্টের এক শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য সরকারকে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনেই এই রিপোর্ট সামনে আনল নবান্ন, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ করা এই রিপোর্ট প্রায় পাঁচ বছর পর প্রকাশ্যে আনল রাজ্য।